চকরিয়ায় যাত্রীবাহী যানবাহনে ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় সশস্ত্র ডাকাতদলের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছে সশস্ত্র এক ডাকাত। আহত হয়েছেন পুলিশের পাঁচ সদস্য। নিহত ডাকাতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। গত বুধবার রাত দুইটার দিকে চকরিয়ার বানিয়ারছড়া–বরইতলী–মগনামা সড়কের হারবাং ছড়া ব্রিজের কাছে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ডাকাতের নাম সাজেদুল হাসান ওরফে মোহাম্মদ মুন্না (২৮)। তিনি চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কোরবানিয়া ঘোনা গ্রামের মাঈন উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তি আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্য। সে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় সশস্ত্র ডাকাতি করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে মাদক মামলায় এক বছরের সাজা পরোয়ানা ছিল। এছাড়াও সে ধর্ষণ মামলাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির উদ্দেশে বানিয়ারছড়া–বরইতলী–মগনামা সড়কটির নির্জন স্থান হারবাং ছড়া এলাকায় একাধিক মোটর সাইকেলযোগে সশস্ত্র ডাকাতদলের মুখোশ পরা ছয় সদস্য অবস্থান করছিল। বৃহস্পতিবার রাত দুইটার দিকে সশস্ত্র ডাকাতদলের উপস্থিতির খবরটি পাওয়ার পর সিএনজি টেক্সি যোগে টহলরত পুলিশ সেখানে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে সশস্ত্র ডাকাতদলের সদস্যরা ৮–১০ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। পুলিশও পাল্টা জবাবে পর পর চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে। একপর্যায়ে ডাকাতদলের সদস্যরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় তৈরি একটি কাটা বন্দুক, দুই রাউন্ড গুলি ও ব্যবহৃত কয়েক রাউন্ড গুলির খোসা, কয়েকটি মুখোশ ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি পালসার মোটর সাইকেল, একটি লোহার শাবল উদ্ধার করে। একইসাথে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ডাকাত মুন্নাকে। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।