রাজনৈতিক দলগুলোকে এক টেবিলে চান সিইসি

| বুধবার , ২ আগস্ট, ২০২৩ at ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোকে ফের এক টেবিলে বসে আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে গতকাল ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমরা বলেছি, উনারাও বিশ্বাস করেন, (সমস্যা সমাধানে) রাজনৈতিকদলগুলোর মধ্যে ডায়ালগ প্রয়োজন। ডায়ালগ ছাড়া এ সংকটগুলো আসলে রাজপথে মীমাংসা করার বিষয় নয়। কমিশন মনে করে, রাজনৈতিক দলগুলোর এক টেবিলে বসা উচিত; একসঙ্গে চা পান করা উচিত। তারপরে আলোচনা করে সংকট নিরসনের চেষ্টা করা উচিত। খবর বিডিনিউজের।

ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে পিটার ডি হাসের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। বৈঠকে আরপিওর সর্বশেষ সংশোধনী, নতুন দল নিবন্ধনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, ইসি সচিব জাহাংগীর আলমও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

গতকালের বৈঠকের পর রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে ফের দলগুলোকে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচনের জন্য অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন। যে সংকটটা বিরাজ করছে তা রাজনৈতিক। এর সঙ্গে আমাদের কাজের কোনো সংঘাত নেই। কিন্তু এ সমস্যাগুলো যদি রাজনৈতিকভাবে সমাধান হয়ে যায়, তাহলে আমাদের জন্য নির্বাচন আয়োজন অনেক কমফোর্টেবল হবে।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, কমিশন প্রত্যাশা করে, রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে কতগুলো বিষয় নিয়ে সংকট প্রকটভাবে রয়েছে, সেগুলো যে কোনো মূল্যে সুরাহা হওয়া প্রয়োজন। একটা স্থিতিশীলতা ফিরে আসুক। যে স্থিতিশীল পরিবেশে আগামী নির্বাচনটা হবে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে সিইসি বলেন, অক্টোবরে উনাদের (যুক্তরাষ্ট্র) প্রিঅ্যাসেসমেন্ট টিম আসবে। উনারা আরপিও সংশোধনের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। উনিও দেখেছেন, শুনেছেন, আরপিও সংশোধনে আমাদের ক্ষমতা কমিয়ে ফেলা হয়েছে। আমরা উনার কাছে কীভাবে এটা বাড়ানো হয়েছে, তা ব্যাখ্যা করেছি। উনি জানতে পেরেছেন, শুনেছেন, এখানকার মোর ভাইব্রেন্ট পলিটিক্যাল পার্টিকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। যাদেরকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে তারা ওইভাবে ভাইব্রেন্ট নয়।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, এর জবাবে আমরা বলেছি, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দিতে গেলে আমাদের বিধিমালা অনুযায়ী যে ধরনের ক্রাইটেরিয়া পূরণ করতে হয়, আমরা সেগুলো স্ট্রিক্টলি ফলো করেছি। এইজন্য অনেক দল নিবন্ধন পায়নি। মাত্র দুটি দল নিবন্ধন পেতে পারে। তারা উপজেলা ও জেলা লেভেলে ক্রাইটারিয়াগুলো পূরণ করেছে।

নির্বাচনে স্বচ্ছতার জন্য মিডিয়া ও পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা যে গুরুত্বপূর্ণ, সে কথা পিটার হাসকে বলেন সিইসি হাবিবুল আউয়াল। আর মার্কিন রাষ্ট্রদূত সিইসির কাছে জানতে চান, আগামীতে গণমাধ্যমকর্মীরা নির্বাচনের দিন মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি পাবে কিনা।

বিষয়টি নিয়ে সিইসি বলেন, এর জবাবে আমরা বলেছি, এ বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় আছে। স্থানীয় পর্যায়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা ওখানকার অবস্থা বিবেচনা করে মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দেবেন। আমরাও কেন্দ্রীয়ভাবে এ বিষয়টি পর্যালোচনা করে অবহিত করব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপি যে সন্ত্রাসী সংগঠন তা আবারও আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত : তথ্যমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সেন্সর সনদ পেয়েছে