নগরীর লালদীঘির পশ্চিম পাড়ের গণশৌচাগারের ক্যাশিয়ারকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে স্বর্ণালংকার ও মোবাইল চুরির ঘটনায় মো. দুলাল (৬০) নামে এক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় চোরাই স্বর্ণালংকার ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়। গতকাল শুক্রবার কুমিল্লার দাউদকান্দিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত ২০ জুলাই ৬০ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি গণশৌচাগারে এসে বাদী রীতা মজুমদারের (৩৫) সাথে পরিচিত হন। বাদীর জিজ্ঞাসাবাদে সে গাইবান্ধা থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ছেলেকে দেখতে এসেছেন বলে জানান। একইদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি উক্ত গণশৌচাগারে গোসল করে বাদীর সাথে মোবাইল নম্বর বিনিময় করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। বিকেল ৩টার দিকে বাদীকে তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে কল করে কৌশলে বাইরে ডেকে নিয়ে যান। নাস্তা করানোর কথা বলে কোতোয়ালী থানাধীন টেরিবাজার মোড়স্থ বিরিয়ানির দোকানের ভিতরে নিয়ে যান। বিবাদীর অনুরোধে বাদী তার কেনা সন্দেশ খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফেরার পরে তিনি নিজেকে বাসায় দেখতে পান এবং দেখতে পান তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, হাতের আংটি, মোবাইল ফোন কোনো কিছুই সাথে নেই। পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে জানতে পারেন অসুস্থ অবস্থায় পথচারীর সহযোগিতায় উদ্ধারপূর্বক তাকে জেনারেল হসপিটালে চিকিৎসা করানো হয় এবং পরবর্তীতে বাসায় নিয়ে আসা হয়।
এ ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার উপ–পরিদর্শক (এসআই) মো. খায়রুল বাসার সাজিদ কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দিতে অভিযান চালিয়ে বাদীর চোরাই মোবাইল ফোন, স্বর্ণের আংটি, স্বর্ণের কানের দুল, স্বর্ণের চেইনসহ মো. দুলালকে গ্রেপ্তার করেন। তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মো. দুলাল দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে মানুষের সামনে অসহায়ত্বের ভাব নিয়ে কৌশলে খাবারের সাথে চেতনাশক দ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করে সাথে থাকা মালামাল চুরি করে নেয় বলে জানায়। গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
