দেশে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মোট সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়েছে। বছরের প্রথম সাত মাসেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এই সংখ্যা দেশে তৃতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৯ সালে পুরো বছরে ১ লাখ ১ হাজার এবং ২০২২ সালে ৬৮ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। খবর বিডিনিউজের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ৫০৩ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময় মৃত্যু হয়েছে আরও ৪ জনের। তাতে এ বছর ২২৯ জনের মৃত্যু হল ডেঙ্গুতে। এর আগে ২০২২ সালে ২৮১ জনের মৃত্যু হয়েছিল এইডিস মশাবাহিত এ রোগে। গতকাল সরকারি ছুটির দিন থাকায় ২৪টি হাসপাতাল ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি এবং মৃত্যুর তথ্য দেয়নি। অনেক জেলা থেকেও শুক্রবার তথ্য আসেনি।
ফলে গতকালের যে প্রতিবেদন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দিয়েছে, তাতে দিনের সব তথ্য আসেনি। বরাবরের মতই শুক্রবারের বাকি তথ্য আজ শনিবারের প্রতিবেদনে সন্নিবেশ করা হবে। তাতে এক দিনে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় উল্লম্ফন দেখা যাবে। নতুন ভর্তি রোগীদের নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৪ হাজার ২০৫ জন। এর মধ্যে জুলাই মাসের ২৮ দিনে ভর্তি হয়েছেন ৩৬ হাজার ২২৭ জন। গত একদিনে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকায় ৯০৭ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৯৬ জন রোগী।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৮ হাজার ৬৭৬ জন রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৪ হাজার ৮৭০ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ হাজার ৮০৬ জন। জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, মৃত্যু হয়েছিল ৩৪ জনের। জুলাইয়ের সেই সংখ্যা ইতোমধ্যে ছয়গুণ বেড়ে গেছে।
মাসের হিসাবে জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন, মে মাসে ১ হাজার ৩৬ জন এবং জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ছয়জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে দুজন, মে মাসে দুজন এবং জুন মাসে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ বছর যাদের মৃত্যু হয়েছে,তাদের প্রায় সবাই ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিনড্রোমে মারা গেছেন।
এইডিস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গত বছর ৬২ হাজার ৩৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে রেকর্ড ২৮১ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে ২০১৯ সালে দেশের ৬৪ জেলায় এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।