পটিয়া ক্লাব মাঠে মাসব্যাপী হস্ত ও কুটির শিল্প মেলায় ‘একটি পণ্য কিনলে, ১০টি ফ্রি’ পণ্য কিনে প্রতারণার শিকার হয়েছে এক ব্যক্তি। এমন প্রতারণার ফাঁদে পড়ে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পটিয়া পৌরসভার মেয়র বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন পৌর সদরের ৬ নং ওয়ার্ড এলাকার আবু বকর ছিদ্দিক নামে প্রতারণার শিকার এক ক্রেতা।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পটিয়া পৌরসদরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে পটিয়া ক্লাব মাঠে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী কুটির ও হস্ত শিল্প মেলা। মেলায় রিমা এন্টারপ্রাইজ নামক একটি ক্রোকারিজের দোকান থেকে রশিদের মাধ্যমে আটত্রিশ হাজার পাঁচশত টাকা ও অনলাইন চার্জের নামে রশিদ বিহীন এক হাজার পাঁচশত টাকাসহ মোট ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি ওয়াশিং মেশিন, একটি গ্যাসের চুলা ও একটি ওভেন মেশিন ক্রয় করেন আবু বকর ছিদ্দিক। যার বর্তমান বাজারমূল্য মাত্র ১০ হাজার টাকা। এছাড়াও পণ্যগুলোর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসব পণ্যের ১ বছরের গ্যারান্টি দিয়ে থাকলেও ওই মেলার দোকানদার ৮ বছরের ভুয়া গ্যারান্টি কার্ড ছাপিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ৪ গুন বেশি মূল্যে এসব পণ্য বিক্রয় করেন। পরবর্তীতে ক্রয়কৃত মালামালগুলো বাসায় গিয়ে চালু করে দেওয়ার কথা থাকলেও পরের দিনই রাতের অন্ধকারে দোকানের মালামাল নিয়ে উধাও হয়ে যায় ওই দোকানদার। পরে বাসায় গিয়ে ক্রয়কৃত মালামালগুলো খুলে দেখা যায় এ পণ্যগুলো ব্যবহার উপযোগী নয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইওএনও) মোহাম্মদ আতিকুল মামুন বলেন, প্রতারণার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আমি কাউন্সিলর সরওয়ার কামাল রাজিবকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা ও প্রতারণার শিকার ব্যক্তির টাকা উদ্ধার করে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলে দিয়েছি।
জানতে চাইলে কাউন্সিলর সরওয়ার কামাল রাজিব বলেন, আমরা মেলার আয়োজকদেরকে মাঠ ভাড়া দিয়েছি। মেলায় কে কিসের দোকান দিয়েছে তা আমাদের দেখার বিষয় নয়। যারা পণ্য ক্রয় করছে তারা কেন জেনে শুনে করছেন না। পণ্য কিনে কেউ ঠকলে তার দায়ভার তো আমি বা ক্লাব কর্তৃপক্ষ নিবে না। যে দোকান থেকে আবু বক্কর মালামালগুলো কিনেছে সে দোকানদার রাতের আঁধারে মালামাল নিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে এ বিষয়ে মেলা আয়োজকরাই ভালো বলতে পারবে।