পঁচাত্তরের রাস্তা পেরিয়ে
অলিগলি যখন– সরু জীর্ণশীর্ণ ক্লেদাক্ত;
পৃথিবীতে এলাম তখন ।
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক পাকিস্তান স্বৈরতন্ত্র
বাংলাদেশ অভ্যুদয়; কোনোটাই
প্রত্যক্ষ গোচর হয়নি।
রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের খরাকালে–
অবিচ্ছেদ্য জরায়ু বাঁধন ছিঁড়ে
প্রথম কান্না—
সামাজিক পারিবারিক তথা
মানসিক ও মানবিক
দুর্ভিক্ষের কবলে মাতৃস্তন সুধা;
অসম ক্ষুধা অসম চাহিদা
সমতার টানাপোড়েনে– যোগান ও প্রাপ্তির
সুষম বণ্টন আশায়
রবিঠাকুরের গীতাঞ্জলি‘র আদ্যোপান্ত গিলে
কেঁচেগন্ডুষ বুদ্ধিজীবী হই,
জীবনানন্দের প্রকৃতি প্রেমে মজে
জগদীশ চন্দ্র বসুর ‘গাছেরও প্রাণ আছে’ এই
নৈতিকতার নিরিখে বীজ রোপণ করি–
অঙ্কুরোদগম দেখি–
বিস্তৃত ডালপালার অঙিজেন নিই–
ফল পাই কই!?
যদিও পাই– তা মড়কযুক্ত।
সমাধান বিহীন সমস্যায়–
আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ——–
রূঢ় বাস্তবতার গায়ে
করাঘাত করি সজোরে;
চিৎকার করতে থাকি বেহুদা গাধার স্বরে
‘লাথি মার ভাঙরে তালা’
অক্ষম অপদার্থ ননীর পুতুলসম হাত–পাগুলো
আমারি বিরুদ্ধাচারণে– লাল ঝাণ্ডা তুলে ধরে।
নিরুপায় পিঠ দেয়ালে ঠেকলেও
যৌবনবতী শিরাউপশিরায়
অমৃত নহর বয়–
দুর্বিনীত ভ্রষ্টাচারের শিকড় উপড়াতে,
চোখ মেলি শান্ত হই
ক্ষুধা নিবৃত্তির প্রিয় বোধ জাগ্রত করি
স্তনের বোঁটা চুঁইয়ে– তখনও,
অমৃত সুধা বয়ে চলেছে।