যারা নবী রাসূল সাহাবা ওলীদের বিরুদ্ধে কটূক্তি করে তারা পথভ্রষ্ট ও ঈমানহারা

আন্তর্জাতিক শাহাদাতে কারবালা মাহফিলের ৬ষ্ঠ দিনে বক্তারা

আজাদী ডেস্ক | বুধবার , ২৬ জুলাই, ২০২৩ at ৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ

জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ প্লাজায় আহলে বায়তে রাসূল (.) স্মরণে ১০ দিনব্যাপী ৩৮ তম আন্তর্জাতিক শাহাদাতে কারবালা মাহফিল গতকাল মঙ্গলবার ৬ষ্ঠ দিনে দেশিবিদেশি আলোচক ও ইসলামী চিন্তাবিদরা আহলে বায়তে রাসূল (.) সহ নবী রাসূল মহাত্মা সাহাবা ও আউলিয়ায়ে কেরামের শান মর্যাদা মাহাত্ম্য নিয়ে কোরআন হাদিসের আলোকে দলিলভিত্তিক বয়ান পেশ করেন। গতকাল থেকে বিপুলসংখ্যক মহিলাও পর্দা সহকারে মসজিদের নিচ তলায় মাহফিলে বক্তাদের আলোচনা শোনেন। মাহফিলে বক্তারা বলেন, সকল নবী রাসূল সাহাবায়ে কেরাম এবং হযরত ইমাম হাসান (রা.) ও ইমাম হোসাইন (রা.) সহ আহলে বায়তে রাসূলের (.) সদস্যগণ নিষ্পাপ, ভুল বিচ্যুতির ঊর্ধ্বে এটাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআতের আক্বিদা। আর আউলিয়ায়ে কেরাম হচ্ছেন সুপথপ্রাপ্ত, অনুসরণ অনুকরণযোগ্য ও মানবজাতির সর্ববিধ কল্যাণ ও নাজাতের উসিলা। যারা আহলে বায়তে রাসূলের () অতুলনীয় শান মর্যাদার ওপর কালিমা লেপন করতে চায় তারা সত্য পথ থেকে বিচ্যুত ও ভ্রষ্টতায় নিমজ্জিত। একইভাবে মহাত্মা নবী রাসূল সাহাবা ও আউলিয়ায়ে কেরামের বিরুদ্ধে যারা বিষোদগার ও কটূক্তি করে তারাও বড়ই দুর্ভাগা, পথভ্রষ্ট ও ঈমানহারা বলে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।

মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের খতিব আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের এই শাহাদাতে কারবালা মাহফিল সারা দেশে বেশ সাড়া জাগিয়েছে। এমনকি এই মাহফিল এখন আন্তর্জাতিক রূপ পেয়েছে। এজন্য আমরা চট্টগ্রামবাসী গর্ববোধ করি। বিদেশি আলোচক ছিলেন কোলকাতা থেকে আগত আল্লামা সাখাওয়াত হোসাইন বারকাতি। তিনি বলেন, ইয়াজিদের তাঁবুতেও নামাজ আজান ছিল। অন্যদিকে ইমাম হোসাইনের (রা.) কাফেলাতেও জামাতে নামাজ আদায় করেছেন নবীপরিবারের সদস্যরা। কিন্তু ইয়াজিদিদের নামাজের মধ্যে আহলে বায়তে রাসুলের (.) তাজিম ও স্মরণ না থাকায় সেই নামাজ আল্লাহপাকের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না। সত্যিকার নামাজি ছিলেন হোসাইনি কাফেলার সদস্যগণ। যেহেতু তাঁদের নামাজে নবীপ্রেম ও আহলে বায়তের (.) স্মরণ ও তাজিম ছিল। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন শাহাদাতে কারবালা মাহফিল পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি, প্রিয় নবীর (.) নৈকট্য এবং আহলে বায়তে রাসূলের (.) অনুগ্রহ লাভ করার জন্যই ৩৮ বছর ধরে জমিয়তুল ফালাহর এই শাহাদাতে কারবালা মাহফিলের আয়োজন। খতিবে বাঙাল অধ্যক্ষ আল্লামা জালাল উদ্দীন আলকাদেরীর (রহ) অসামান্য দ্বীনি খেদমতের দৃষ্টান্ত মহররম মাসের ১০ দিনব্যাপী এ শাহাদাতে কারবালা মাহফিল। আহলে বায়তের প্রতি ইমামগণের ভালোবাসা বিষয়ে আলোচনা করেন নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস আল্লামা মুহাম্মদ এনামুল হক সিকদার। তিনি বলেন, যুগে যুগে সকল বুজুর্গ ইমামগণ আহলে বায়তে রাসুলের (.) প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। আলোচক আল্লামা আব্দুল মোস্তফা আব্দুর রহিম আজহারি বলেন, আহলে বায়তে রাসূল (.) ও শানে সাহাবাকে তুলে ধরতেই এই শাহাদাতে কারবালা মাহফিল। মাহফিলে অতিথি ছিলেন, আঞ্জুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ মহসিন, গাউসিয়া কমিটির কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বোরহানুল হাসান চৌধুরী, শাহাজাদা আমিন উদ্দিন খান আব্দুল্লাহ, শাহ সুফি মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা আমিরভাণ্ডারী, কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মুহাম্মদ বেলাল, জামেয়ার শিক্ষক মাওলানা মুহাম্মদ জসীম উদ্দিন আলকাদেরী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপরিধানযোগ্য ভিন্ন ধারার অক্সিমিটার যন্ত্রের ডিজাইন
পরবর্তী নিবন্ধসেই ‘আসল-নকল’ দুজনের বিরুদ্ধে আদালতের মামলা