আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়ে আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে দেন এবং নজরুল ইসলামকে কারাগারে পাঠান। এরপর জানা গেলে তিনি আসলে নজরুল ইসলাম নন, তিনি হচ্ছেন মো. আরিফুল ইসলাম। মূলত অসৎ উদ্দেশ্যে নজরুল ইসলামের হয়ে তিনি প্রক্সি দিয়েছেন। এ ঘটনায় তাদের দুজনের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন দ্বিতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. ওমর ফারুক মজুমদার। প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই দৈনিক আজাদীতে ‘কারাগারে নেয়ার পর জানা গেল তিনি আসল আসামি নন’ শিরোনামে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হয়।
জুয়েল দেবের আদালতের বেঞ্চ সহকারী নুরে খোদা আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি গ্রহণ করে অভিযুক্ত আসল, নকল দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন বিচারক। মামলার বাদী মো. ওমর ফারুক মজুমদার বলেন, বিচারকের নির্দেশে দুজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছি। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪১৯, ৪২০ ও ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি প্রক্সি দেয়া মো. আরিফুল ইসলামের আইনজীবী মো. আবুল কাশেমকে শোকজ করা হয়েছে। তিনি বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হয়ে উক্ত বিষয়ে ব্যাখ্যা দিবেন। তার বিষয়ে বার কাউন্সিলকেও অবহিত করা হয়েছে।