বাবা প্রতিটি সন্তানের জন্যই বটবৃক্ষের ছায়া

গাজী মো. আরাফাত হোসেন | মঙ্গলবার , ২৫ জুলাই, ২০২৩ at ৮:০৪ পূর্বাহ্ণ

পৃথিবীতে অনেক খারাপ মানুষ আছে, কিন্তু কোন খারাপ বাবা নেই। কারণ প্রতিটি বাবা তার সন্তানকে বটবৃক্ষের মত ছায়া দিয়ে, আদর যত্নে নিজের মাথার ঘাম পায়ে পেলে মানুষ করতে নিজের শখ আহ্লাদকে উৎসর্গ করে। কারণ তিনি বাবা। আমার বাবা, তেমনি একজন। ছোট্ট বয়সে মা হারানোর শূন্যতা বুঝতে দেয়নি। মা কিংবা বাবা দুইজনের দায়িত্ব তিনি একাই নিয়েছেন। আমার কিংবা আমাদের পরিবারের শখ আহ্লাদ পূরণে নিজের জীবন উৎসর্গ করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি আমাদের জন্য করে গেছেন। প্রিয় আব্বু নেই, গত বছর ৭ অক্টোবর চলে গেলেন আমাদের রেখে। আব্বুকে কোনোদিন কোনো কাজে দুর্বল/ অসহায় হিসেবে দেখিনি, নিজের কষ্ট হলেও নিজের অসহায়ত্ব নিজেই লুকিয়ে রেখে সব করে গেছেন। জীবনের শেষ পর্যায়ে মৃত্যুর ১ মাস আগে আব্বু অসুস্থ হয়ে মেডিকেলে দিনযাপন করেছিলেন, প্রতিটি দিনই আব্বুর শারীরিক অবস্থার অবনতি। আব্বুর চোখে মুখে অসহায়ত্বের ছাপ, চোখের জল আমাকে পীড়া দিত। যে মানুষটি দিনরাত অসহায়ত্ব লুকিয়ে রেখে আমাদের জন্য করে গেছেন, জীবনের শেষ মুহূর্তে ছোট বাচ্চার মত অসহায় ছিল, হয়ত শেষ পর্যায়ে আমাদের নিয়ে ভেবেছিল, তাঁর বটবৃক্ষকের ছায়ার শূন্যতা আমাদের কেমন রাখবে? প্রতিটি মানুষ বটবৃক্ষস্বরূপ মাবাবা হারিয়ে বুঝে তারা কী জিনিস। এই জীবনের তাদের কত গুণ, তাদের ছায়া কতটা নিরাপদ।

ছোট্ট সন্তান হিসেবে আব্বুর জন্য কিছু করতে না পারা, আব্বুর শেষ অসহায়ত্ব, চোখের জল আমাকে অনেক পীড়া দিচ্ছে, ভবিষতেও দিবে। মহান আল্লাহ আমার ও যাদের আব্বু এই পৃথিবী থেকে চলে গেছে তাদের জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করুক। যাদের বাবা বেঁচে আছে তাদের সুস্থ সবল রেখে সন্তানকে বটবৃক্ষের ছায়া দানের তৌফিক দান করুকআমিন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রতারকের ফাঁদে ধ্বংসের পথে মানুষের জীবন
পরবর্তী নিবন্ধজীবিকা নির্বাহে মুসলমানদের পেশা