পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে মারপিটের ঘটনায় অটোরিকশা চালক সমিতির সদস্যের জামিন না মঞ্জুর করার প্রতিবাদে শহরে অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রাখে চালকরা।
আজ বুধবার (১৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ঘটনার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই দুপুরে সোহেল রানা নামের রাঙামাটি বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র তার স্বজনদের নিয়ে শহরের লেকার্স স্কুল গেইট থেকে কোর্টবিল্ডিং এলাকায় পৌঁছালে চালক মোস্তফার সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর আরেক চালক রিয়াজ এবং চালক সমিতির সদস্য নয়ন এসে সোহেলকে মারধর করে।
সোহেল রানা এক পর্যায়ে তাদের থেকে বাঁচতে ডিসি অফিসে আশ্রয় নেন। এরপর আহত সোহেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ঘটনার পরের দিন ১৭ জুলাই চালক মোস্তফা(৩৩)কে প্রধান আসামী করে তিনজনের নামে রাঙামাটি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামীরা হলো মো. রিয়াজ (২২) এবং মো নয়ন (২২)। তবে মামলা পরবর্তী নয়নকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারলেও বাকি দুই আসামী পলাতক রয়েছে।
এদিকে, আজ বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে নয়ন জামিন আবেদন করলে জামিন না মঞ্জুর করে আসামীকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা বেগম মুক্তা।
এ ঘটনার প্রতিবাদে পুরো শহরে দুই ঘন্টা অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রাখে চালকরা। এতে সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ে। পরে সন্ধ্যা ৬টায় শহরে অটোরিকশা চলাচল স্বাভাবিক হয়।
অপরদিকে, রাঙামাটি জেলা অটোরিকসা শ্রমিক ইউনিয়ন-এর সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু বলেন, “আমাদের চালক সমিতির এক সদস্যকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে আমরা শহরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রেখেছিলাম। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে আবার চলাচল শুরু হয়।”