বয়স সবে ১৬ মাত্র মাধ্যমিকটা পাশ করেছি। মা বাবা অভাবের জন্য সিদ্ধান্ত নিল তুলে দিবে অন্যের হাতে। যেই কথা সেই কাজ। ছেলেটা অতটা খারাপও না। বলতে গেলে একটু বেশিই ভালো। ১৪ই ফেব্রুয়ারি শুভ পরিণয়ের দিন ঠিক হলো। স্মরণীয় দিন…. বিয়ের দিন অতটা ধুমধাম করে হলো না বিয়েটা। তবে মা বাবা চেষ্টা করেছে যেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অসম্মান করতে না পারে। বিয়ের প্রত্যেকটা রীতি খুব সুন্দরভাবে সম্পন্ন হলো। বিয়ের দিন…. শত কষ্ট হলেও পরের ঘরে তো যেতেই হবে। লাল গোলাপ দিয়ে সাজানো গাড়িতে উঠলাম। গাড়িতে উঠতেই আমার স্বামী আমার হাতটা চেপে ধরে বললো কেঁদো না মিতা আমি আছি না! ভালোবাসার বাঁধনে তোমাকে এমনভাবে আগলে রাখবো কখনোই কষ্ট পেতে দিবো না। সেই যে আমার স্বামী অয়ন কথা দিয়েছিল এখনো পর্যন্ত সেই কথাটাই রেখেছে। আমার দুঃখ, কষ্ট যেন সে হাসি দিয়েই ভরিয়ে দেয়। শ্বশুর–শাশুড়িমার কথা কী আর বলবো! মেয়ে ছাড়া কখনোই অন্য কোনো সম্পর্কে সম্বোধন করে না আমায়। কথায় আছে–ননদীনি রায় বাঘিনী। বোনের মতো খুনসুটি আর হাসিঠাট্টা লেগেই থাকে। সবকিছুকে আগলে রেখে এই জীবন। বেশ ভালোই আছি। নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছি। দিনশেষে শান্তির নিঃশ্বাস নিতে পারছি। ভালোবাসা সত্যিই সুন্দর। দুটো মনের মিলনে এর সৌন্দর্যতা আরো প্রকাশিত হয়। আসলে ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা। বিশেষ কোনো মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ভালোবাসা।