চিকিৎসকদের শত চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে শেষ পর্যন্ত মারাই গেল বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত বোয়ালখালী উপজেলার এসএসসির ফল প্রার্থী জাওয়াদ মো. শিশির (১৬) নামের এক শিক্ষার্থী। গতকাল শুক্রবার ভোররাতে রাজধানী ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। এর আগে গত ১০ জুলাই উপজেলার জোটপুকুর পাড় এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় শিশির। সে বোয়ালখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব গোমদণ্ডী এলাকার সৈয়দ বাড়ির গোলাম মাহমুদের ছোট সন্তান। স্থানীয় গোমদণ্ডী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফলাফলের অপেক্ষায় ছিল সে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষা দিয়ে অবসর সময় কাটাচ্ছিল শিশির। এ সময় হাতের কাজ শেখানোর উদ্দেশ্যে এক ইলেক্ট্রনিক মিস্ত্রির তত্ত্বাবধানে দেয়া হয়েছিল তাকে। গত ১০ জুলাই উপজেলার জোটপুকুর পাড় এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। প্রথমে তাকে বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ ও পরে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সেখান থেকে গত ১২ জুলাই ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে মৃত্যু হয় তার।
গোমদন্ডী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম খসরু পারভেজ বলেন, শিশির খুবই ভদ্র, বিনয়ী ও ভালো ছেলে ছিল। শিক্ষক–সহপাঠী সবার কাছে খুবই প্রিয় ছিল সে।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর শেখ আরিফ উদ্দিন জুয়েল বলেন, শিশিরের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শুক্রবার তার মরদেহ গ্রামে পৌঁছালে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। পরে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে শিক্ষার্থী শিশিরের মৃত্যুর খবর পেয়ে গতকাল বিকেলে তার বাড়িতে যান স্থানীয় এমপি নোমান আল মাহমুদ। এ সময় তিনি নিহতের শোক সন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দেন।