রাউজানে শৃঙ্খলা ও উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। সন্ত্রাসমুক্ত রাউজান এখন শান্তির জনপদ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাউজান সাংবাদিক পরিষদ চট্টগ্রাম নেতৃবৃন্দ দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পরিষদের সাফল্য কামনা করে একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব এম এ মালেক বলেন, সবাই একসঙ্গে থাকা ভালো। এতে পেশার উৎকর্ষের পাশাপাশি পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বাড়ে।
আলাপকালে তিনি বলেন, কোভিডের কারণে অনেক মানুষের স্মৃতিশক্তি কমে গেছে। সকালে দেখা হলে বিকেলে ভুলে যান। এতে অনেকে ভুল বোঝেন। কোভিডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সত্যিই উদ্বেগজনক।
ডেঙ্গু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগে এডিস মশা অভিজাত ছিল। পরিষ্কার পানিতে জন্মাত। এখন বলা হচ্ছে– যেকোনো পানিতে এডিস মশা জন্মায়। আগে মশা কামড়ালে মানুষ টের পেতো। এখন তারা কৌশল পাল্টে ফেলেছে। এত সূক্ষ্মভাবে অপারেশন চালায় মানুষ টেরই পাচ্ছে না। এই ডেঙ্গু অনেক শিশুসন্তানকে কেড়ে নিচ্ছে মা–বাবার কোল থেকে। তারা কী কখনো এ শোক ভুলতে পারবে। রাউজান সাংবাদিক পরিষদের
সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দৈনিক পূর্বকোণের সিটি এডিটর নওশের আলী খান এবং সাধারণ সম্পাদক দৈনিক কালবেলার বিশেষ প্রতিনিধি ও ব্যুরো প্রধান সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক ও সংবর্ধনা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী, সদস্যসচিব সৈয়দ আলমগীর সবুজ, সিনিয়র সাংবাদিক খোরশেদ আলম, দেবাশীষ বড়ুয়া দেবু, মোহাম্মদ জহির, ডেইজী মউদুদ, মনজুর কাদের মনজু, আল রাহমান, মিঠুন চৌধুরী, মোরশেদ তালুকদার, পার্থ প্রতীম বিশ্বাস, মোরশেদ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।
নওশের আলী খান বলেন, রাউজান তথা চট্টগ্রামের ঐতিহ্য, উন্নয়ন ও সম্ভাবনা তুলে ধরতে ২০১৯ সালে রাউজান সাংবাদিক পরিষদ গঠন করা হয়। করোনার কারণে আমাদের কার্যক্রম খুব বেশি দূর আগায়নি। আগামী ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় কাজীর দেউড়ির সেনা কল্যাণ সংস্থা কনভেনশন হলে রাউজান সাংবাদিক পরিষদের অভিষেক ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ আয়োজনকে চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের মিলনমেলায় পরিণত করার লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।