দেশের শোবিজ অঙ্গনের বড় তারকা অভিনেতা জাহিদ হাসান। মঞ্চ, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র সব মাধ্যমেই আলো ছড়িয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ আটবার পেয়েছেন মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার। সমপ্রতি মাছরাঙা টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন ‘রাঙা সকাল’র বিশেষ পর্বে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন অভিনেতা। যেখানে জানিয়েছেন জীবনের অনেক চড়াই–উতরাই’র গল্প। অভিনয়ের টানে ঢাকায় এসেছিলেন জাহিদ হাসান। সেইসময়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, পরিবার থেকে হাত খরচের টাকা না নিয়ে ঢাকাতেই সংগ্রাম করে থাকতাম।
সকাল–বিকাল–রাত পাউরুটির সঙ্গে গুড় দিয়ে খেতাম। একটা সময় যাতায়াত ভাড়ার টাকা বাঁচানোর জন্য টিএসসি থেকে রামপুরা বিটিভি ভবনে হেঁটে হেটে যেতাম। নাটকের মহড়ায় ছিড়ে যাওয়া প্যান্ট আর গেঞ্জি পরে চলে যেতাম। একটা ডায়েরি কেনারও পয়সা ছিল না। এক পাতার কাগজেই সব পয়েন্টগুলো টুকে রাখতাম। তখনই মনে হয়েছিল, অভিনয় অনুধাবনের বিষয়, অনুভবের বিষয়, সবকিছু কাগজে কলমে লেখার প্রয়োজন নেই। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে সঞ্চালক জাহিদ হাসানকে প্রশ্ন করেন, আপনার কোন স্মৃতিগুলো সবাই মনে রাখুক বলে আপনি চান? জবাবে অভিনেতা বলেন, মানুষ মনে রাখবে এত বড় হইনি। আমি চাই সবাই ভালো থাকুক। আমাকে নিয়ে কেউ চিন্তা করুক এমন কিছু ভাবিনা। এরপর জাহিদ হাসান বললেন, আল্লাহ মাফ করুক বা আল্লাহ কবুল করুক আমার কেন জানি মনে হয়, আমি বেহেশতে যাব। আল্লাহপাক যেন কবুল করে এটা। আমি জেনে–বুঝে এমন কোনো পাপ করি না, সেজন্য কথাটি বললাম।