জাতীয় সংসদের স্পিকার থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অবৈধ উপায়ে সরকারি অর্থ অনুমোদন করার অভিযোগে দুদকের করা পাঁচটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বিএনপি নেতা মুহাম্মদ জমিরউদ্দিন সরকার। আদালত জমিরউদ্দিন সরকারকে তার নেওয়া ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছিল। খবর বিডিনিউজের।
সেই অর্থ জমা হওয়ার পর ঢাকার বিশেষ জজ প্রদীপ কুমার রায় গতকাল রোববার বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্যকে মামলা থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন। ব্যরিস্টার জমিরউদ্দিন ২০০১ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত আইনসভার স্পিকারের পদে ছিলেন।
সেই দায়িত্ব অবসানের পরের বছর ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর শেরে–বাংলা নগর থানায় পাঁচটি মামলা করেন দুদকের উপ–পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান ও উপ–সহকারী পরিচালক এস এম খবির উদ্দিন। তাতে অভিযোগ করা হয়, স্পিকার থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি বিদেশে চিকিৎসার জন্য অবৈধ উপায়ে সরকারি অর্থ অনুমোদন করিয়ে তা নগদে তুলে আত্মসাত করেন। পাশাপাশি সরকারি বাসভবনের আসবাবপত্র কেনার জন্যও অতিরিক্ত অর্থ তুলে তা আত্মসাত করেন তিনি। মামলাগুলোর অভিযোগপত্র বিচারিক আদালত দাখিলের পর সেগুলো বাতিল চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেন জমিরউদ্দিন।
তখন হাই কোর্ট মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিল। সেই রুলের শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৯ মে হাই কোর্ট বিভক্ত আদেশ দেয়। পরে হাই কোর্টের তৃতীয় বেঞ্চ এসব মামলা চলার পক্ষে আদেশ দেয়। হাই কোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে জমিরউদ্দিন আপিল বিভাগে আবেদন করলে সর্বোচ্চ আদালত মামলাগুলো বাতিলের আদেশ দেয়। তবে একইসঙ্গে চিকিৎসা ভাতা হিসেবে নেওয়া টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে বলা হয় জমিরউদ্দিনকে।
সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী, ওই অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার চালান কপি বিচারিক আদালতে জমা দিলেই তার এই মামলাগুলো থেকে চূড়ান্তভাবে অব্যাহতি পাওয়ার কথা। তিনি গত ১৪ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট এলাকার সোনালী ব্যাংকে চালানের মাধ্যমে এই অর্থ জমা দেন বলে আদালতের নথিতে দেখা গেছে।