সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার জনতা ব্যাংক শাখার হিসাব নম্বরে জমা দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকের প্রায় ৫ কোটি টাকা নিয়ে অফিস সহকারী উধাও হয়ে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার বিষয়টি জানান পর ভুক্তভোগী গ্রাহকরা ব্যাংকে এসে ব্যবস্থাপকের কার্যালয় ঘেরাও করেন বলে জানান শাহজাদপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম মৃধা। খবর বিডিনিউজের।
শাহজাদপুর পৌর এলাকার পাড়কোলা এলাকার বাসিন্দা এবং জনতা ব্যাংকের অফিস সহকারী (পিয়ন) রঞ্জু আকন্দর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। গ্রাহকরা জানান, রঞ্জু আকন্দ দীর্ঘদিন ধরে জনতা ব্যাংকের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি গ্রাহকদের সহযোগিতা করার কথা বলে তাদের জমা দেওয়া টাকা নিজের কাছে রেখে ব্যাংকের সিল–স্বাক্ষর মেরে রিসিভ কপি দিতেন। আবার ওই গ্রাহকরা টাকা উত্তোলন করতে এলে চেক নিয়ে নিজের কাছ থেকে টাকা দিয়ে দিতেন।
তারা আরও জানান, এভাবে বেশ কয়েকজন প্রবাসীর লাখ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা রাখার কথা বলে তা হিসাব নম্বরে না দিয়ে রঞ্জু নিজেই আত্মসাৎ করেছেন। এর সঙ্গে ব্যাংকের হিসাবরক্ষক, ব্যবস্থাপক ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। জনতা ব্যাংক শাহজাদপুর শাখার ব্যবস্থাপক জেহাদুল ইসলাম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, অফিস সহকারী রঞ্জু ব্যাংকের নকল সিল তৈরি করে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
তিনি ব্যাংকের এমডির আত্মীয় পরিচয় দিয়ে সবাইকে জিম্মি করে এমন অপকর্ম করায় আমরা বিষয়টি টের পাইনি।
ওসি নজরুল ইসলাম মৃধা বলেন, ঈদের ছুটির পর অফিস সহকারী রঞ্জু আর ব্যাংকে আসেননি। রোববার সকালে কিছু গ্রাহক ব্যাংকে এসে নিজেদের হিসাব নম্বরের খোঁজ নিয়ে জমা করা অর্থ দেখতে পাননি। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি জানাজানি হলে শতাধিক ভুক্তভোগী গ্রাহক এসে ব্যবস্থাপকের কার্যালয় ঘিরে ফেলেন। পুলিশ গিয়ে তাদের আশ্বস্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। অফিস সহকারী রঞ্জুকে আটকে পুলিশ অভিযানে নেমেছে বলে জানান তিনি।