অতীত মনে রাখা মানুষের সংখ্যা মূলত কম। রুপালি জীবনে সেটি আরও বেশি। অথচ নায়িকা শবনম বুবলীর বেলায় সেই অতীতটাই দারুণ ঝলমলে হয়ে ধরা দিলো বুধবার (৫ জুলাই) রাতে। তার অতীত অধ্যায়ের ৪০ জন সহকর্মী দলবেঁধে গেলেন সিনেমা হলে, দেখলেন ‘প্রহেলিকা’। খবরটি পেয়ে প্রেক্ষাগৃহে ছুটে যান বুবলী। তৈরি হয় অন্যরকম আবেগ আর আনন্দের আবহ। বর্তমানের গল্প বলার আগে বুবলীর অতীত টানা যাক। অনেকেই জানেন, সিনেমায় আসার আগে বুবলী ছিলেন পেশাদার সংবাদ সঞ্চালক। কাজ করতেন বাংলা ভিশনের বার্তা বিভাগে। টিভি পর্দায় খবর পাঠ করতে গিয়েই নজরে পড়েন ঢালিউডের। প্রস্তাব আসে শাকিব খানের দরবার থেকে। সম্মতির পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দুজনে টানা এক ডজন ছবির জন্ম দেন। বছর দুয়েক হলো, ঢালিউডের সফল পুতুল নায়িকা থেকে বেরিয়ে অভিনেত্রীতে নিজেকে রূপান্তর ঘটান বুবলী। সিনেমার সঙ্গে কাজ করে মুগ্ধতা ছড়ান ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও।
সেই সূত্রে এই ঈদের পাঁচ ছবির মধ্যে দুটোই (প্রহেলিকা ও ক্যাসিনো) বুবলীর দখলে। এরমধ্যে দারুণ সাড়া মিলছে গল্পনির্ভর সিনেমা ‘প্রহেলিকা’য় অর্পা চরিত্রের সুবাদে। যে ছবির মাধ্যমে আট বছর পর মাহফুজ আহমেদ ফিরলেন বড় পর্দায়। হাতের লাঠি হিসেবে পেলেন ঢালিউডের অভিজ্ঞ শবনম বুবলীকে। ফলাফল, মুক্তির টানা এক সপ্তাহ চলছে হাউজফুল। তারই অংশ হিসেবে বুধবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় বসুন্ধরার স্টার সিনেপ্লেক্সে সন্ধ্যার শো দেখলেন বুবলীর প্রাক্তন সহকর্মীরা। শবনম বলেন, ‘আমি যতদূর জানতে পেরেছি, দেশের প্রায় সব টিভি চ্যানেলে কর্মরত সংবাদ সঞ্চালকদের বড় একটা দল এদিন এসে আমার ছবিটি দেখেছেন। ৪০–৪৫ জন হবেন। এটা তো আমার জন্য অবিশ্বাস্য আনন্দের খবর। আমি মুগ্ধ ও বিস্মিত আমার প্রতি এই মানুষগুলোর ভালোবাসা দেখে। আমি সত্যি অনেক গর্বিত যে সংবাদ উপস্থাপনার মতো এমন একটি চ্যালেঞ্জিং, সম্মানিত আর পরিশীলিত কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। এখন আমি সেই কাজটিতে নেই, অথচ আমার পুরোনো কলিগরা প্রমাণ করলেন, না থেকেও আমি কতটা আছি তাদের ভেতর। আমার সিনেমা জীবনে এত বড় সারপ্রাইজ আর পাইনি।’












