দীর্ঘ ছয়– সাত বছর অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকার পর অবাক করা কাণ্ড ঘটেছে রামু উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরিতে। লাইব্রেরির ভেতরে আট– দশটি বুক সেলফ ও চেয়ার টেবিল থাকলেও নেই একটি বইও। উধাও হয়ে গেছে এই লাইব্রেরির সমস্ত বই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই লাইব্রেরিতে তিন হাজারের বেশি বই ছিল। বিষয়টি সচেতন মহলে বিষ্ময়ের সৃষ্টি করেছে। জানা গেছে , ২০২২ সালের দিকে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রনয় চাকমার সময়ে লাইব্রেরিটির কিছু সংস্কার কাজ হয়েছিল। এরপর অজানা কারণে এটি বন্ধ হয়ে যায়। রামু পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৮৪ সালের দিকে। গতকাল দুপুরে ঢাকার আতিকুজ্জামান রাসেল নামের এক প্রকাশক ও গবেষক রামু পাবলিক লাইব্রেরির পরিদর্শনে গেলে চোখে পড়ে এই অবাক করা কাণ্ড। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে রামু উপজেলা প্রশাসন ও রামু থানা পুলিশের লোকজন ঘটনাস্থল যান।
এ সময় দেখা যায়, লাইব্রেরি কক্ষের পূৃর্ব পাশের একটি জানালাও নেই। জানালাটির সম্পূর্ণ অংশ খুলে নিয়ে গেছে কে বা কারা। সামনের দিকে তালাবদ্ধ থাকলেও ওই স্থান দিয়ে অনায়াসে যে কেউ লাইব্রেরিতে ঢুকতে পারে। লাইব্রেরির ভেতরে চেয়ার টেবিল, আলমিরা সব ঠিক ঠাক থাকলেও নেই একটি বইও। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, লাইব্রেরির বুক শেলফ গুলো ঘুনে ধরেছে। চেয়ার টেবিল গুলোও নষ্টের পথে। দুইটি বৈদ্যুতিক লাইট এবং একটি পাখা ছিল। সেগুলোও উধাও। লাইব্রেরির পুর্ব পাশের একটি জানালা নেই। তবে জানালার পাশে রয়েছে উচু সীমানা প্রাচীর।
রামুর পাবলিক লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এডভোকেট আবুল মনসুর বলেন, এটির সাথে আসলে আমাদের দীর্ঘ ২০/২২ বছর ধরে সম্পর্ক নেই। পরিচালনা কমিটির কোন সময় দরকার হলে যোগাযোগ করেন। চুরির ঘটনাটি দুংখজনক। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি কমিশনার নিরুপম মজুমদার জানান, লাইব্রেরিটি দীর্ঘদিন বন্ধ অবস্থায় ছিল। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সঠিক বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।