ধানি জমির সঙ্গে মেশার উপক্রম চলাচলের সড়ক

চাঁদের গাড়িতে অবৈধভাবে গাছ পরিবহন

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৬ জুলাই, ২০২৩ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের কানুন বাজার থেকে কমলাছড়ি পর্যন্ত সড়কের বেহাল অবস্থায় চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন স্থানীয় হাজারো বাসিন্দা। চলমান বর্ষার বৃষ্টিতে এটি চষা জমির রূপ ধারণ করেছে। বন উজাড় করে চাঁদের গাড়ি (জিপ) করে গাছ আনানেওয়া করায় সড়কের এই বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

জানা যায়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের উদ্যোগে পদুয়া ইউনিয়নের পূর্ব খুরুশিয়া এলাকার চলাচলের একমাত্র সড়কটি পদুয়া রাজারহাট বাজার থেকে কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়ন করা হয়েছে। এতে এতদ অঞ্চলের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হয়। বাকি অংশটুকুও উন্নয়নে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কিন্তু এরমধ্যে ভারী চাঁদের গাড়ি চলাচলের কারণে সড়কটি পাশের জমির সাথে মিশে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। বনখেকোদের হাত থেকে সড়ক ও বনাঞ্চল রক্ষায় তথ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জলকাদায় একাকার সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। সড়কজুড়ে বড় বড় গর্ত। তাতে কাদা পানিতে একাকার। দেখে মনে হয় বীজ রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। সড়কের কানুন বাজার থেকে কমলাছড়ি পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়কের এই বেহাল অবস্থা দেখা যায়। এসময় স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এই এলাকার সহস্রাধিক মানুষের চলাচলের এটি একমাত্র মাধ্যম। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে। প্রায় ১৫০ জন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থী চলাচলেরও একমাত্র সড়ক এটি। এটির বেহাল অবস্থার কারণে কৃষি মালামাল ও জরুরি রোগী পরিবহনে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় বলে জানান স্থানীয়রা।

রহিম মিয়া নামে স্থানীয় একজন অভিযোগ করে বলেন, বন উজাড় করে সেই গাছ চাঁদের গাড়ি দিয়ে এই সড়ক দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সাধারণ মানুষ বাধা দিলে তারা নানাভাবে ভয় দেখায়। এভাবে আর কিছুদিন চললে সড়কটি আশেপাশের জমিনের সাথে মিশে যাবে এবং বনের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।

এই ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, এই সড়ক দিয়ে ভারী জিপে করে বনের কাঠ ও গাছ পরিবহন হয়। এতে সড়কটির অবস্থা আরও বেশি খারাপ হয়েছে। তবে সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই পরিমাপও করা হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।

খুরুশিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, বন উজাড় করার বিষয়টি মিথ্যা। ওই রাস্তাটা এমনিতে বন্ধ, সেখানে মোটরসাইকেলও চলতে পারে না। সেখানে গাছ কাটা হলে আনানেওয়া করার সুযোগই নেই। তারপরও বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. দিদারুল আলম বলেন, সড়কটি তথ্যমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী রাজারহাট থেকে চার কিলোমিটার অংশ কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়ন করা হয়েছে। বাকিটুকুও উন্নয়নে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজ্বরে অবহেলা নয়
পরবর্তী নিবন্ধস্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা