বৃষ্টির কারণে শেষ পর্যন্ত খেলা আর শুরু হতে না পারায় আফগানদের মুখেই ফুটল হাসি।
তিন ম্যাচের ওয়ান-ডে’র প্রথমটিতে আজ বুধবার (৫ জুলাই) চট্টগ্রাম নগরীর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৭ রানে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল তারা।
তার আগে ৪৩ ওভারে বাংলাদেশ তোলে ১৬৯ রান। আফগানদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৩ ওভারে ১৬৪।
২১.৪ ওভারে ২ উইকেটে ৮৩ রান তোলার পর বৃষ্টিতে শেষ হয় খেলা।
২০ ওভার খেলা না হলে ম্যাচে জয়-পরাজয় আসত না কিন্তু একটুর জন্য জয় পেয়ে যায় আফগানরা।
খেলার শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চ্যালেঞ্জটা খুব ভালোভাবে নিতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাস শুরু করেছিলেন সতর্কতায়। তবে আলগা শটে তামিমের বিদায়ের পর থেকে আফগান বোলাররা আঘাত হানতে থাকেন নিয়মিতই। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরাও একের পর এক আউট হন বাজে শটে।
এক প্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি করেন কেবল তাওহিদ হৃদয়। চতুর্থ উইকেট সাকিবের সঙ্গে তার ৩৭ রানের জুটি ইনিংসের সর্বোচ্চ জুটি।
গোটা ইনিংসে বাংলাদেশ চার মারতে পেরেছে স্রেফ ১০টি, ছক্কা একটি। ১৫ ওভারের পর বাউন্ডারি হয়েছে কেবল ৩টি। ইনিংসের শেষ ১৬ ওভারে চার হয়েছে কেবল ১টি।
আফগানিস্তানের হয়ে ফজলহক ফারুকি শুরুটা একটু এলোমেলো করলেও পরে গুছিয়ে নিয়ে দারুণ বোলিং করেন। শেষ ওভারে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়লেও ৩ উইকেট নিয়ে দলের সফলতম বোলার তিনি। তিন স্পিনার রশিদ, মুজিব ও নবি যথারীতি ছিলেন দুর্দান্ত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৪৩ ওভারে ১৬৯/৯ (তামিম ১৩, লিটন ২৬, শান্ত ১২, সাকিব ১৫, হদয় ৫১, মুশফিক ১, আফিফ ৪, মিরাজ ৫, তাসকিন ৭, হাসান ৮*, মুস্তাফিজ ৩*; ফারুকি ৮.৪-১-২৪-৩, সালিম ৪.২-০-৩৬-০, ওমারজাই ৬-০-৩৯-১, মুজিব ৯-১-২৩-৩, নবি ৬-০-২৫-১, রশিদ ৯-০-২১-২)।