এক মাসের ব্যবধানে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানি ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সাথে বেড়েছে কন্টেনার হ্যান্ডলিংও। গত জুন মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে বড় ধরনের এই অর্জনের কথা জানানো হয়েছে। অপরদিকে আমদানির ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে আমদানি কমেছে ১১ দশমিক ২৩ শতাংশ। যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে গত জুন মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৭৫ হাজার ৩৯১ টিইইউএস কন্টেনার। আগের মাসে (মে মাস) যার পরিমান ছিল ৫০ হাজার ২৭৭ টিইইউএস কন্টেনার। এক মাসের ব্যবধানে কন্টেনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে ২৫ হাজার ১১৪ কন্টেনার বা ৪৯ দশমিক ৯১ শতাংশ। যা একটি বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি বলে মন্তব্য করে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এক মাসের ব্যবধানে এত বেশি কন্টেনার পণ্য রপ্তানি বেশ বড় অর্জন। কন্টেনার বোঝাই করে বিশ্বের নানা দেশে পাঠানো এসব পণ্যের বিনিময়ে দেশে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা এসেছে বলেও উল্লেখ করেন তারা।
অপরদিকে সদ্য সমাপ্ত জুন মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ৭৫৫ টিইইউএস কন্টেনার পণ্য। আগের মাসে যার পরিমান ছিল ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৮৩ টিইইউএস পণ্য। একমাসের ব্যবধানে পণ্য আমদানি কমেছে ১৩ হাজার ১২৮ টিইইউএস কন্টেনার বা ১১ দশমিক ২৩ শতাংশ পণ্য। এর ফলে মে মাসের তুলনায় জুন মাসে কম ডলারের পণ্য আমদানি করতে হয়েছে।
রপ্তানি বাড়ার মাধ্যমে বেশি ডলার আয়ের বিপরীতে কম পণ্য আমদানির মাধ্যমে ডলার সাশ্রয় হওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এই ধারার মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসার ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও সূত্রগুলো মন্তব্য করেছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক এক মাসের ব্যবধানে বন্দরে কন্টেনার হ্যান্ডলিং বৃদ্ধি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।