পাইকারীতে বেড়েই চলেছে রসুনের দাম। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি রসুনের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা। অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির পর সপ্তাহখানেক দাম নিম্নমুখী থাকলেও এখন আবার বাড়ছে। তবে কমতির দিকে রয়েছে আদার দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে আদার দাম কমেছে কেজিতে ৩০ টাকা। চাক্তাই খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চীনা রসুনের সরবরাহ কমার কারণে দাম বাড়ছে। দেশে ডলার মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। এছাড়া চীনে রসুনের বুকিং দর বাড়ছে। পেঁয়াজের বাজারে সরবরাহ ঘাটতি নেই। তবে ভারতে বুকিং দর বাড়ার কারণে দাম উর্ধ্বমুখী রয়েছে। এছাড়া কমছে আদার দাম। চাহিদা কমার কারণে আদার দাম কমছে।
গতকাল চাক্তাই খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩৮–৪০ টাকায়। কোরবানির ঈদের আগে বিক্রি হয়েছে ৩০–৩২ টাকায়।এছাড়া কোরবানির ঈদের আগে চীনা রসুনের দাম ছিল ১৩০ টাকায়। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। তবে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে আদার দাম কেজিতে ৩০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ২২০–২৪০ টাকায়।
চাক্তাই আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি আহসান খালেদ পারভেজ দৈনিক আজাদীকে বলেন, চীনা রসুন ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। তবে বাজারে আদার দামে অস্থিরতা কমেছে। আসলে কাঁচাপণ্যের বাজার সব সময় এক রকম থাকে না। সরবরাহ বাড়লে দাম এমনিতেই কমে যায়। সরকার পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ভারত থেকে আমদানির অনুমতি দেয়। তখন দেশী পেঁয়াজের দাম কিন্তু একেবারে কমে যায়। কারণ চট্টগ্রামের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের কদর একটু বেশি।
চাক্তাই আফরা ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. আলাউদ্দিন আলো বলেন, কাঁচাপণ্যের বাজারে দাম একটু বাড়লে সিন্ডিকেট কারসাজির অভিযোগ করা হয়। আসলে কাঁচাপণ্য চাইলে নির্দিষ্ট সময়ের বেশিদিন মজুদ রাখা যায় না। এতে পণ্যের গুণগতমান নষ্ট হয়ে যায়। পণ্যের সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যায়। সরবরাহ কমলে দাম বেড়ে যায়।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমাদের দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার ব্যবসায়ীদের মর্জির ওপর নির্ভর করে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে, এই ঘোষণার সাথে সাথে দেশে পেঁয়াজের দাম কমে যায়। আবার উল্টো দিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হবে এমন খবরে দাম বেড়ে যায়। এখন চীনা রসুনের দাম বেড়ে যাচ্ছে। অথচ বাজারে চীনা রসুনের কোনো সংকট নেই। বিষয়গুলো অনেকবার প্রশাসনের নজরে এনেছি। কিন্তু কাজের কিছুই কাজ হচ্ছে না।












