ঝিনাইদহ সদর ও শৈলকূপা উপজেলাসহ বিভিন্ন বাজারে কাঁচা মরিচ এক হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ কাঁচা মরিচ কিনতে হিমশিম খাচ্ছে।
কয়েকদিন আগেও বাজারে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে। হঠাৎ করে এর দাম বেড়ে যায়।
আজ শনিবার (১ জুলাই) জেলার বিভিন্ন হাট ও বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাহিদার তুলনায় কাঁচা মরিচের উৎপাদন কম ও বৃষ্টির কারণে দাম বেড়েছে।
জেলা শহরের কাঠমিস্ত্রি রাসেল বলেন, “সারা দিন কাজ করে ৫০০ টাকা আয় করি। বাজারে গিয়ে ৮০০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ কিনলে অন্য বাজার করা সম্ভব হচ্ছে না।”
শৈলকুপা উপজেলার মরিচ বিক্রেতা দুলাল হোসেন বলেন, “বৃষ্টিতে গাছের ফুল পড়ে যাওয়ার কারণেই কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে গেছে। আমি পাঁচ কেজি কাঁচা মরিচ বাজারে নিয়ে এসেছিলাম। পাইকারিতে ৯০০ টাকা দরে বিক্রি করেছি।”
কৃষক মহসিন আলী বলেন, “কিছুদিন আগে রোদের কারণে মরিচের গাছ থেকে ফুল ঝরে গেছে। ফলে মরিচের দাম বেড়েছে। আমি আট কেজি কাঁচা মরিচ শৈলকুপার বাজারে আনার পর এক হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি।”
পাইকারি ব্যবসায়ী মুকাদ্দাস হোসেন বলেন, “এখন মরিচের বাজারে দাম অনেক চড়া। আমরা পাইকারিতে ৮শ’ টাকা দরে মরিচ কিনেছি।”
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলার ছয় উপজেলায় এক হাজার ৭শ’ ২৪ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজগর আলী বলেন, “বর্ষা মৌসুমে অধিকাংশ জমির মরিচ গাছ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম। এজন্য দাম একটু বেশি।”