সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের জেরে গত মে মাসে পিটিআই সমর্থকরা পাকিস্তান জুড়ে যে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল তা সামাল দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ তুলে জ্যেষ্ঠ তিন সেনা কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। বিবিসি জানায়, পাকিস্তান সেনাবহিনীর পক্ষ থেকে ওই তিন কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। শুধু বলেছে, তারা সেনাবাহিনীর সম্পদের সুরক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। বরাবরই পাকিস্তান সেনাবাহিনী দেশটির রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব বিস্তার করে এসেছে। ইমরানের সমর্থকদের অভিযোগ, সেনাবাহিনীই কলকাঠি নেড়ে ইমরানকে প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে উৎখাত করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
গত ৯ মে দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ইমরানকে গ্রেপ্তার করেছিল পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো। অন্য একটি মামলায় হাজিরা দিতে তিনি সেদিন আদালতে গিয়েছিলেন। ইমরানকে গ্রেপ্তারের পর তার হাজার হাজার সমর্থক পাকিস্তান জুড়ে তীব্র বিক্ষোভ গড়ে তোলে। দুই দিনের ওই বিক্ষোভে তারা সেনাবাহিনীর একজন জেনারেলের বাড়িসহ কয়েকটি সেনানিবাস এবং সামরিক স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণের অভিযোগে সে সময় পাঁচ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। যাদের বেশিরভাগকেই অবশ্য পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রায় শতাধিক ব্যক্তির বিচার এখনো সামরিক আদালতে চলছে। সাধারণত বেসামরিকদের বিচার সামরিক আদালতে হয় না। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে মেজর জেনারেল আহমদ শরিফ চৌধুরি বলেন, কী ভুল হয়েছিল সেটা আমাদের খুঁজে বের করতে হয়েছে।
আরো ১৫ সেনাকর্মকর্তা সাজা পেয়েছেন বলেও জানান তিনি। বিচারের সময় সেনাকর্মকর্তাদের স্বজন যাদের মধ্যে কয়েকজন কর্মকর্তার স্ত্রীও রয়েছেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সামরিক আদালতে যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাদের মধ্যে কতজন বেসামরিক নাগরিক এবং কতজন সেনাবাহিনীর সদস্য সে বিষয়েও তিনি কোনো তথ্য দেননি। শুধু বলেন, তাদের বেসামরিক আইনজীবী নিয়োগ দেওয়ার অধিকার রয়েছে, এমনকি তারা চাইলে রায়ের বিরুদ্ধে আপিলও করতে পারবে। সামারিক আদালতে বেসামরিক নাগরিকদের বিচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।












