পবিত্র ঈদ উল আজহার আর মাত্র দুইদিন বাকি। গতকাল সোমবার ছিল সরকারি–অফিস আদালতের শেষ কর্মদিবস। ঈদের ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে নাড়ির টানে চট্টগ্রাম ছাড়ছে মানুষ। ধীরে ধীরে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে কোলাহলমুখর নগরী। সরকারি নির্বাহী আদেশে একদিন আগে ঈদের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সেই হিসেবে সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের এবার ঈদের ছুটি ৫ দিন। গতকাল সরকারি বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেষ কর্মদিবস হওয়ায় অনেকেই অফিস শেষ করে পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ির পানে ছুটেছেন। ট্রেন এবং বাস স্টেশনগুলোতে ভিড় দেখা গেছে। তবে ঈদের ছুটি আগে শুরু হওয়ায় এবার ঈদযাত্রায় অনেকটা স্বস্তিভাব দেখা যাচ্ছে। তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে ছুটি হবে আজকের পর থেকে। আজ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হওয়ায় সকাল থেকে ট্রেন এবং বাস স্টেশনে জনস্রোত বাড়বে। বিশেষ করে আজ এবং আগামীকাল বুধবার নগর ছাড়বে প্রচুর মানুষ। আজ মঙ্গলবার প্রতিটি ট্রেনে ভিড় বাড়বে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী। এদিকে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা নিরাপদ করতে বিশেষ ট্রেন চালু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। আজ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ১৮টি ট্রেন চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছুটে যাবেন বলে জানিয়েছেন স্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার। তিনি আজাদীকে বলেন, ঈদযাত্রার তৃতীয় দিনে বেশি ভিড় ছিল না। মঙ্গলবার সরকারি ছুটি থাকায় সকাল থেকে ভিড় বাড়বে প্রতিটি ট্রেনে। এবার প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত বগি যুক্ত করায় এবং ঈদ স্পেশাল ট্রেন চালু করায় ট্রেনে অন্যান্যবারের মতো ভিড় নেই। এবারও ছাদে কাউকে উঠতে দেওয়া হয়নি।
যত ভিড় বাস স্টেশনে : রেল স্টেশনের চেয়েও বেশি ভিড় দেখা যাচ্ছে বাস স্টেশনগুলোতে। গতকাল কদমতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল, স্টেশন রোডস্থ বিআরটিএ স্টেশন, বহদ্দারহাট, নতুন ব্রিজ এলাকা, অঙিজেন, একে খান, গরিবুল্লাহ শাহ মাজার গেটে দূরপাল্লার বাস কাউন্টার এবং অলংকার মোড়ে বিকালের পর থেকে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় লেগেছিল।
আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির মহাসচিব প্রফেসর কফিল উদ্দিন আহমদ আজাদীকে বলেন, যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দে টিকিট নিয়ে আনন্দের সাথে পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। এবার ঈদ যাত্রা ভালোই হবে। ঈদে অন্যান্যবারের মতো এবারও প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার যাত্রী যেতে পারবেন। ২০ হাজারের মতো যাত্রী শহরে আসবেন। চট্টগ্রাম থেকে ৫০ থেকে ৬০টি রুটে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ গাড়ি যাত্রী নিচ্ছে।