অনিবন্ধিত অনলাইন টিভির বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে গতকাল চট্টলা টিভি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের অফিস সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। এ সময় ওই অফিস থেকে প্রচুর জায়গা জমির দলিলসহ নানা কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। চাঁদাবাজি এবং প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য চট্টলা টিভির বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনে পৃথক মামলা রুজুসহ প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলেও জেলা প্রশাসনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রামে অবৈধ আইপি টিভি, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, পোর্টাল ব্লগসহ অনলাইন টিভির বিরুদ্ধে গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান পরিচালনা করা হয়। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের করা অভিযোগ করা হয়েছে, এসব আইপি টিভি, অনলাইন নিউজ পোর্টাল সাংবাদিকতার নামে রমরমা ব্যবসা করছে। জেলা প্রশাসনের অনুসন্ধান এবং নজরদারিতে ব্যাপক চাঁদাবাজির ঘটনা ধরা পড়ে। গতকাল দুপুর দুইটা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত নগরীর লাভলেইনের আবেদীন কলোনির চট্টলা টিভি অফিসে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা–২০১৭ (২০২০ সালে সংশোধিত) এ বর্ণিত নির্দেশনা লঙ্ঘন করে এবং জাতীয় সমপ্রচার নীতিমালা–২০১৪ অমান্য করে গড়ে ওঠা এই ভুঁইফোড় অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এবং হিমাদ্রী খীসা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, চট্টলা টিভি বিভিন্ন উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে কাজ করার নামে চাঁদাবাজি ও ভূমিদস্যুতাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ে। এসব ঘটনাকে পুঁজি করে পক্ষপাতমূলক সংবাদ পরিবেশন করে বিভিন্নজনের কাছ থেকে আর্থিক ফায়দা হাসিল করছিল। এরমধ্যে নগরীর বহু গণ্যমান্য ব্যক্তিও রয়েছেন।
অভিযানকালে চট্টলা টিভির অফিসে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে জমি–জমা সংক্রান্ত এবং বিবাদের অভিযোগ, মামলা সংক্রান্ত কাগজপত্র পাওয়া গেছে। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন পক্ষপাতদুষ্ট খবর তৈরি করে সেগুলো অনলাইনে (ইউটিউব ও ফেসবুক) প্রচার করে।
দীর্ঘদিন ধরে চট্টলা টিভি জাতীয় সমপ্রচার নীতিমালা–২০১৪ লঙ্ঘন করে তথ্য–উপাত্ত ও কনটেন্ট সমপ্রচার করে আসছিল। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চট্টলা টিভির অফিস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলায় অবৈধ ও অনিবন্ধিত অনলাইন টিভি চ্যানেলসমূহ বন্ধ করতে মহানগর ও উপজেলায় অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জেলা প্রশাসনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।