মুছা বাবুল স্যারের বাসায় প্রায়ই আসত

আদালতে সাক্ষ্যে বাবুলের বাসার দারোয়ান আবদুস সাত্তার

| মঙ্গলবার , ২৭ জুন, ২০২৩ at ৮:২৩ পূর্বাহ্ণ

মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার পলাতক আসামি কামরুল ইসলাম শিকদার প্রকাশ মুছা সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের বাসায় প্রায়ই আসতো বলে আদালতে জানিয়েছেন মামলায় সাক্ষী ও বাবুল আক্তারের বাসার দারোয়ান আবদুস সাত্তার মোল্লা। গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসিম উদ্দিনের আদালতে সাক্ষ্য দেন তিনি। সাক্ষ্যে আবদুস সাত্তার বলেন, বাবুল আক্তারের ছেলে মাহিরকে সবসময় স্কুলের বাসে দিয়ে আসতে যেতো কনস্টেবল সাদ্দাম। নিয়েও আসতো সে। কিন্তু ঘটনার দিন সাদ্দাম আসেনি। তাই বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু ম্যাডাম মাহিরকে নিয়ে সকাল সাড়ে ছয়টায় বাসে তুলে দিতে যান। আমি তখন দায়িত্বে থাকা অন্য সিকিউরিটি গার্ড তারেককে দায়িত্ব দিয়ে চা আনতে ফ্লাস্ক নিয়ে বের হয়। বিল্ডিং থেকে বের হয়ে শেষ মাথার ডানদিকে গিয়ে দেখি ম্যাডাম রাস্তার উপর পড়ে আছে আর মাহির চোখ মুছে মুছে কান্না করছে। আমি তখন দৌঁড়ে গিয়ে বাচ্চাকে কোলে নিয়ে বিল্ডিং এর নিচে চলে আসি। এরপর বিল্ডিংএর সব বাসায় কল দিয়ে ঘটনা জানাই। বাবুল স্যারের বাসায় কল দিয়ে তাদের বাসার কাজের

মেয়ে ফাতেমাকে বলি একটি চাদর নিয়ে আসার জন্য। এরপর আমি চাদর দিয়ে ম্যাডামের লাশকে ডেকে দেই। পরে পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যায়। সাক্ষ্যে তিনি আরও বলেন, আমি চাকরি করাকালীন মুছা নামের একজন বাবুল স্যারের বাসায় প্রায় আসতো। তখন আদালত তিনি মুছাকে চেনেন কিনা জিজ্ঞেস করেন। খবর বাংলানিউজের।

জবাবে আবদুস সাত্তার বলেন, প্রথমদিকে চিনতাম না। সে বাজার নিয়ে আসতো। আমি ম্যাডাম থেকে পারমিশন নিয়ে তাকে যেতে দিতাম। কখনো কখনো বাজার নিচে রেখে যেতো। ফাতেমা এসে নিয়ে যেতো। বাবুল স্যারের বাসার জন্য আলাদা রেজিস্ট্রি খাতা ছিলো। কেউ আসলে নাম লিখে নিতাম। ঘটনার তিন চারদিন আগে আমি ওয়াশরুমে গিয়েছি। কারা যেনো খাতাটি তখন নিয়ে গেছে। সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আদালতের হাজতে থাকা বাবুল আক্তারকে শনাক্ত করেন আবদুস সাত্তার। এরপর তাকে জেরা করেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী কফিল উদ্দিন।

জেরায় আবদুস সাত্তার বলেন, বাবুল আক্তার যে বিল্ডিংএ থাকতেন সেটাতে আমি ২ বছর ধরে চাকরি করি। তবে কোন সাল থেকে কোন সাল সেটা মনে নেই। বাবুল স্যার কোন বছর থেকে থাকেন বা কত বছর ছিলেন সেটাও আমি জানি না। এগুলো আমার জানার বিষয় না। স্যারের বাসায় যাওয়ার জন্য যে রেজিস্ট্রি খাতা ছিলো সেটা কখন, কোন তারিখ বা কে নিয়ে গেছে সেটা জানি না। তবে আরেকজন যে ডিউটিতে ছিলেন তারেক তার কাছ থেকে নিয়ে গেছে। তবে নিয়ে যেতে আমি দেখিনি। তারেকের কাছ থেকে শুনেছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজায়গা সংকটে হচ্ছে না আলাদা ডেঙ্গু ওয়ার্ড
পরবর্তী নিবন্ধচট্টলা টিভির অফিস সিলগালা জমির দলিল উদ্ধার