প্রেমের ঘটনা থেকেই কক্সবাজারে দুই দিনে দুই যুবক খুন হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার ও শনিবার কক্সবাজার শহর ও শহরতলীর খুরুশকুল এলাকা থেকে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ দুই খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
আজ সোমবার (২৬ জুন) বিকেলে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ সুপার জানান, গত শুক্রবার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের ডিসি সড়ক থেকে টমটম (ই-বাইক) চালক আবদুল আজিজের (২৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
এর পরদিন শনিবার শহরের কুতুবদিয়া পাড়ার ঝাউবন থেকে মোহাম্মদ এবাদুলের (১৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে ছুরিকাঘাতে ও গলাটিপে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
নিহত টমটম চালক আবদুল আজিজের বাড়ি কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এবং এবাদুলের বাড়ি শহরের কুতুবদিয়া পাড়ায়।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম জানান, দুই যুবকের লাশ উদ্ধারে পর পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করে। আর তিনদিনের মধ্যেই পুলিশ দুই যুবক খুনের রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হয়।
তিনি বলেন, “দু’টি ঘটনার পেছনে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। টমটম চালক আজিজের স্ত্রী পারভীন আক্তারের সাথে গ্রেফতার মোহাম্মদ শাকেরের (৩০) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আজিজের সঙ্গে তার প্রেমিকার বিয়ে হওয়ার বিষয়টি শাকের মেনে নিতে পারেনি। আর এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শাকের ও তার চাচাতো ভাই মোহাম্মদ জাকির (৩০) পরিকল্পনা করে আজিজকে খুন করে এবং তার টমটম গাড়িটি লুট করে। এ ঘটনায় আজিজের স্ত্রী পারভিন আক্তার বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।”
পুলিশ সুপার আরো বলেন, “অপরদিকে, মোহাম্মদ এবাদুলের সঙ্গে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটিকে পছন্দ করত তার বন্ধু জাহেদুল ইসলাম (১৭)। আর এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জাহেদুল ইসলাম রাকিবসহ কয়েকজন মিলে এবাদুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে খুন করে। এ ঘটনায় এবাদুলের মা ফাতেমা খাতুন বাদী হয়ে গতকাল রবিবার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ আজ সোমবার ভোরে চট্টগ্রাম শহরে অভিযান চালিয়ে রাকিবকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে এনে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়।”