রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে যাওয়ার পর ভাগনার বাহিনী মস্কো অভিমুখে যাত্রা ‘বন্ধ’ রাখার ঘোষণা দিয়েছে; রক্তপাত এড়াতে সৈন্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথাও বলেছেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন।
ভাগনার যোদ্ধাদের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রচার করা এক ভয়েস নোটের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
বেলারুশ প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে আলোচনার সময় ভাগনার বাহিনী প্রধান তার যোদ্ধাদের আর অগ্রসর না করাতে রাজি হন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন রুশিয়া ২৪ নিউজ চ্যানেলের উদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসি এ ঘটনার লাইভ প্রতিবেদনে জানায়, পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপের দিকে না যায় সেজন্য প্রিগোজিন তা মেনে নিয়েছেন।
ভাগনার বাহিনী প্রধান উত্তেজনা কমাতে লুকাশেঙ্কোর প্রস্তাব মেনে নিয়ে রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধযাত্রা থামাতে রাজি হয়েছেন বলে বেলারুশের প্রেসিডেন্টের প্রেস সার্ভিসের বরাতে জানিয়েছে রুশিয়া ২৪।
এতে ভাগনার বাহিনীর যোদ্ধাদের জন্য নিরাপত্তাসহ উত্তেজনা কমানোর সম্ভাব্য ও গ্রহণযোগ্য সমাধান খোঁজার কথা বলা হয়েছে।
এর আগে মস্কোর ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে ভাগনার বাহিনী পৌঁছে গেলে সেটিকে ‘কঠিন পরিস্থিতি’ বলে বর্ণনা করেন নগরীর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন।
শনিবার টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে তিনি মস্কোকে ‘সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে’ বলে জানান।
একই সঙ্গে ঝুঁকি কমাতে তিনি আগামী সোমবারকে ‘নন-ওয়ার্কিং ডে’ বা ‘কর্মহীন দিবস’ বলেও ঘোষণা করেন বলে জানায় বিবিসি।
তিনি মস্কোর বাসিন্দাদের যতদূর সম্ভব ভ্রমণ এড়িয়ে চলাও পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, ‘সবগুলো নাগরিক পরিষেবাকে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে’।
রাশিয়ার মিলিশিয়া বাহিনী ভাগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের কথিত ‘বিদ্রোহী’ তৎপরতাকে কেন্দ্র করে মহাসংকটে পড়েছে রাশিয়া। ইউক্রেইন যুদ্ধে রাশিয়ার বড় অস্ত্র ভাগনার বাহিনী এখন উল্টো প্রচণ্ড আক্রোশ নিয়ে মস্কোর পথেই রওনা হয়।
