গাছুয়া ফেরিঘাটে হবে টার্মিনালসহ জেটি

ব্যয় ৭শ কোটি টাকা

সন্দ্বীপ প্রতিনিধি | শনিবার , ২৪ জুন, ২০২৩ at ৬:৫৫ পূর্বাহ্ণ

মীরসরাই ইকোনমিক জোনের জন্য সন্দ্বীপের গাছুয়া আমির মোহাম্মদ ফেরিঘাটে নির্মিত হবে টার্মিনালসহ জেটি। গত বছরের ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেটিসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় নিয়মিত গাছুয়া ঘাটসহ সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শনে আসেন বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিমসহ বিআইডব্লিওটিএর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। শুক্রবার সন্দ্বীপের গাছুয়া ফেরি ঘাট এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা। এসময় সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসাসহ বিআইডব্লিওটিএর কর্মকর্তাবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।

গাছুয়া বেড়িবাঁধ থেকে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরত্বে নদীতে নির্মাণ করা হবে জেটি। যার প্রশস্ততা হবে ৩০ মিটার। বেড়িবাঁধের পূর্ব পাশে যেখানে চর রয়েছে সেখানে নির্মাণ করা হবে টার্মিনাল। আর এ টার্মিনাল থেকে থেকে জেটি পর্যন্ত ৯ মিটার প্রস্থ সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে। যাতে সরাসরি জেটিতে গাড়ি চলাচল করতে পারে। আর এ সম্পূর্ণ কাজের জন্য ব্যয় হবে ৭০০ কোটি টাকা। এছাড়া সন্দ্বীপের সন্তোষপুরেও ইকোনমিক জোনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। সেটাকেও বিবেচনায় রেখে এ জেটি ও আনুষঙ্গিক স্থাপনাগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানান বিআইডব্লিওটিএ।

সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা বলেন, সন্দ্বীপবাসীর স্বপ্ন ফেরি সার্ভিসের মাধ্যমে গাড়ি নিয়ে সন্দ্বীপচট্টগ্রাম আসা যাওয়া করা সে বিষয়টি বিআইডব্লিওটিএর চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। আশা করি বিআইডব্লিওটিএ যে প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে সেটি বাস্তবায়িত হলে দ্বীপবাসীও এর সুফল ভোগ করবে।

বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা সাংবাদিকদের জানান, এখানে একটা অত্যাধুনিক জেটি নির্মাণ করা হবে। মীরসরাইতে যে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠছে তার সাথে সন্দ্বীপের এ জেটির একটা সরাসরি সংযোগ থাকবে। এছাড়া তিনি আরো জানান, সীতাকুণ্ডের পাড়ে কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা গেলে সন্দ্বীপবাসীও নিরাপদ ও সংক্ষিপ্ত পথে নৌ যাতায়াতের ক্ষেত্রে এ জেটি থেকে সুবিধা পাবে। টেন্ডার আহ্বানসহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হয়ে যাওয়ায় অচিরেই এ জেটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅন্তর্মুখী বিস্ফোরণে টুকরো টুকরো হয়ে যায় টাইটান
পরবর্তী নিবন্ধকামারপাড়া মুখর