কোলেপিঠে বড় করা আজকের সন্তানরাই ঠেলে দেয় তাদের সেই পিতামাতাকে বৃদ্ধাশ্রম নামের ঠিকানায়, যে পিতামাতাই তাদেরকে দুনিয়ার মুখ দেখিয়েছিলো, পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলো এই পৃথিবীর সাথে। শরীরের অক্ষমতা আর বার্ধক্যের ভারে নুয়ে পড়ে বৃদ্ধটিই আজ বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দা।
সমীকরণে দেখা যায়, এক সময়ে তার পিতামাতাকে পাঠানো সেই তরুণটিও আজ বয়সের ব্যবধানে তার সন্তানদের দ্বারা বৃদ্ধাশ্রমে নির্বাসিত হয়। যে মানুষটা তার সন্তানদের জন্য কতই না পরিশ্রম করেছে, কতই কষ্টে গড়ে তুলেছে এই সংসার। কিন্তু এভাবেই আর কতদিন। কেন এই নিষ্ঠুরতা? কেন এই অমানবিকতা? আদৌও কি পারবো না আমরা সেই নিয়ম থেকে বেরিয়ে আসতে? তারা যেন শেষ বয়সে তাদের সন্তানের সাথে নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটাতে পারে। তাই আমাদের অবশ্যই একটা বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে যে আমরা একসময় বৃদ্ধ হয়ে যাব। আজকে যদি আমরা আমাদের বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসি তাহলে পৃথিবীর এই চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী আমাদের সন্তানও আমাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসতে পারে। আমরা চাই এ বৃদ্ধাশ্রম নামক ব্যবস্থাই যেন চিরতরে বিলুপ্ত হয়।
তৌহিদ–উল বারী
শিক্ষার্থী,
বাকলিয়া সরকারি কলেজ, চট্টগ্রাম।