চট্টগ্রামে বিপুল পরিমাণ নকল প্রসাধনীসহ পিতা–পুত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা বিভিন্ন উপকরণের মাধ্যমে এসব প্রসাধনী তৈরি করে বিভিন্ন নামীদামি ব্র্রান্ডের বলে চালাতেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। গত বুধবার নগরীর ধনিয়ালাপাড়ার একটি বাসা থেকে মো. জালাল (৫৫) ও মো. আল আমীনকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ধনিয়ালাপাড়া ছোট মসজিদ বাইলেইনের কুতুব বিল্ডিং ও সালেহ আহমদ বিল্ডিংয়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল প্রসাধনী এবং সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) নিহাদ আদনান তাইয়ান জানান, চক্রটি বিভিন্ন স্থান থেকে নামীদামি ব্র্যান্ডের বোতল সংগ্রহ করে নিজেরা দেশীয় কিছু রাসায়নিক ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রসাধনী প্রস্তুত করত। পরে সেগুলো চট্টগ্রাম অঞ্চলের ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করত।
উদ্ধার করা নকল প্রসাধনীগুলোর মধ্যে বডি লোশন, ক্রিম, শ্যাম্পু, বডি ওয়াশ, বডি স্প্রে, মেহেদী, এয়ার ফ্রেশনার, ব্যথানাশক মলম, শেভিং ক্রিম, তেলাপোকা মারার কিট রয়েছে বলে জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তা তাইয়ান। ওই বাসা থেকে নকল প্রসাধনী তৈরির সরঞ্জাম, নকল ব্র্যান্ড মোড়ক, কৌটাও জব্দ করা হয় বলে জানান তিনি।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারকৃত বাবা মো. জালাল মনসুরাবাদস্থ গোয়েন্দা কার্যালয়ে আজাদীকে জানান, ঢাকায় লালু নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে নকল প্রসাধনী সামগ্রী তৈরির কাজ শিখেছেন তিনি। বিভিন্ন ভাঙারির দোকান থেকে প্রসাধনী সামগ্রীর বোতলগুলো সংগ্রহ করেন। এছাড়া বিভিন্ন দোকান থেকেও মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী সামগ্রীর বোতল কিনে নেন। এরপর বিভিন্ন উপাদান দিয়ে শ্যাম্পু, বডি লোশন, ফেসওয়াশসহ বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী তৈরি করেন। পরে প্লাস্টিক দিয়ে প্যাকিং করে বাজারে ছাড়েন। তিনি জানান, ফুটপাতের বিক্রেতারা তাদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে যান। প্রতিটি প্রসাধনী সামগ্রী তৈরিতে তার খরচ পড়ে ৩৫ থেকে ৫০ টাকা। সেগুলো একশ টাকায় ফুটপাতের বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতেন। তবে নামীদামি সুপারশপ বা দোকানে এসব পণ্য বিক্রি করার কথা স্বীকার করেননি তিনি।