চট্টগ্রাম–১০ আসনের (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর) উপ–নির্বাচনের ভোট গ্রহণের জন্য ভোট কেন্দ্র ও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল চূড়ান্ত করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা। চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানা যায়, আগামী ৩০ জুলাই চট্টগ্রাম–১০ আসনের উপ–নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য ১৫৬ টি ভোট কেন্দ্র ও ১২৫১টি বুথের সংখ্যা চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভোট গ্রহণে দায়িত্ব পালন করবেন ৩ হাজার ৯০৯ জন। কিন্তু প্রশিক্ষণ নিবেন অতিরিক্ত ৫ শতাংশসহ ৪ হাজার ১০৫ জন। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ চলবে ২১ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসাইন আজাদীকে বলেন, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরির কাজ চলছে। চট্টগ্রাম–১০ আসনের উপ–নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৫৬টি। বুথের সংখ্যা ১২৫১টি। নির্বাচনে প্রতি ভোট কেন্দ্রে ১ জন করে ১৫৬ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, প্রতি বুথে একজন করে সহকারী প্রিসাইডিং ১২৫১ জন এবং প্রতি বুথে ২ জন করে পোলিং অফিসার ২৫০২জন দায়িত্ব পালন করবেন। এদের সাথে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল তৈরি হবে। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, চট্টগ্রাম–১০ আসনে উপ–নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ জুলাই। ভোট সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে। এই আসনে ভোট গ্রহণে আগ্রহী প্রার্থীরা ৪ জুলাই পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন। মনোনয়ন বাছাই হবে ৬ জুলাই। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ১২ জুলাই পর্যন্ত। পরদিন হবে প্রতীক বরাদ্দ।
চট্টগ্রাম–১০ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীন গত ২ জুন মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার পর সংসদ সচিবালয় থেকে এই আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। শূন্য আসনে আগামী ৩০ জুলাই ভোট গ্রহণ করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে চট্টগ্রাম–১০ আসনের উপ–নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জাতীয় পার্টি, গণফ্রন্ট, তৃণমূল ও স্বতন্ত্রসহ মোট ৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তবে এখনো পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি বলে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন যিনি পাবেন তিনি ছাড়া এই আসনে আর কেউ অংশ নিবেন না বলে জানা গেছে।