জমে উঠতে শুরু করেছে দশ পশুর হাট

সাগরিকা বাজারের পাশে অবৈধ হাটে উচ্ছেদ অভিযান

হাসান আকবর | শুক্রবার , ২৩ জুন, ২০২৩ at ৭:৫৮ পূর্বাহ্ণ

স্থায়ী অস্থায়ী মিলে নগরীর দশটি বৈধ গরু ছাগলের বাজারের পাশাপাশি প্রচুর অবৈধ বাজার গড়ে উঠছে। প্রতিটি বাজারেই প্রচুর গরু ছাগল জড়ো করা হয়েছে। বৈধ অবৈধ মিলে জমে উঠতে শুরু করেছে পশুর বাজার। কোরবানির এখনো এক সপ্তাহ বাকি থাকলেও বাজার ভর্তি হয়ে গেছে গরু ছাগলে। তবে বেচাবিক্রি কম। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে অবৈধ পশুর বাজারগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর সাগরিকা গরু বাজারের সন্নিকটে গড়ে উঠা অবৈধ বাজারগুলোতে অভিযান চালিয়েছে।

পবিত্র ঈদুল আযহা আসন্ন। আগামী বৃহস্পতিবার পবিত্র কোরবানি সম্পন্ন হবে। এতে করে আগামী বুধবার রাত পর্যন্ত গরু ছাগল মহিষসহ পশু কেনার সময় রয়েছে। নগরীতে আগাম পশু কিনে লালন পালন কিংবা রাখার জায়গার অভাবে অনেকেই এক দুইদিন আগে বাজার থেকে পশু কিনে আনেন। তবে প্রায় প্রতিদিনই বাজারে গরু দেখতে যান এমন মানুষের সংখ্যা অগুনতি। চাঁদ উঠার পর থেকে চট্টগ্রামের স্থায়ী অস্থায়ী বৈধ এবং অবৈধ বাজারগুলোতে শত শত মানুষ গরু ছাগল দেখতে ভিড় করছেন। কেউ কেউ কেনাকাটাও করছেন। তবে বেশিরভাগই পশু দেখে বেড়াচ্ছেন।

নগরীতে তিনটি স্থায়ী পশুর বাজার রয়েছে। এরমধ্যে সাগরিকা গরু ছাগলের বাজার, বিবির হাট পশুর বাজার এবং পোস্তার পাড় ছাগলের বাজার। এর বাইরে এবার কোরবানি উপলক্ষে আরো সাতটি অস্থায়ী বাজারকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে কর্ণফুলী পশুর বাজার, ৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডের বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টি কে গ্রুপের খালি মাঠ, হালিশহর ওয়ার্ডের আউটার রিং রোডস্থ সিডিএ বালুর মাঠে হাট, ৪০ নম্বর উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডের পূর্ব হোসেন আহম্মদ পাড়া সাইলো রোডের পাশে টিএসপি মাঠ, একই ওয়ার্ডের মুসলিমাবাদ রোডের সিআইপি জসিমের খালি মাঠ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড়পোল সংলগ্ন গোডাউনের পরিত্যক্ত মাঠ এবং ৩ নম্বর পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের ওয়াজেদিয়া মোড়।

উপরোক্ত দশটি বাজারের পাশাপাশি নগরীর অলিতে গলিতে প্রচুর পশুর বাজার গড়ে তোলা হয়েছে। মৌসুমী গরু ব্যবসায়ীরা নিজেদের উদ্যোগে ছোট ছোট বাজার গড়ে তুলে বেচাকেনা চালাচ্ছে। আবার কেউ কেউ খোলা জায়গা বা মাঠে অস্থায়ী বাজার গড়ে তুলছে। নগরীর প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই একাধিক অবৈধ বাজারে গরু ছাগল জড়ো করা হচ্ছে। স্থায়ী অস্থায়ী কিংবা অবৈধ বাজারগুলো এখনো পুরোপুরি জমে না উঠলেও প্রচুর গরু ছাগল আসতে শুরু করেছে।

আজ কালকের মধ্যে এসব বাজারে জমজমাট বিকিকিনি চলবে বলে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টরা বলেছে, গরুর দাম এখনো বেশ চড়া। যা বেচাকেনার উপর বেশ প্রভাব ফেলছে। মানুষের বাজেট ফেল করছে। ধারণার চেয়ে বাড়তি দাম হাঁকা হচ্ছে।

অপরদিকে অবৈধ গরুর বাজারগুলো বৈধ বাজারের জন্য হুমকি হয়ে উঠায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন গতকাল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে। গতকাল দুপুরে সাগরিকা বাজার ও তার আশপাশ এলাকায় পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন চসিকের স্টেট অফিসার রেজাউল করিম। সাগরিকা গরু বাজারের ধারে কাছে অন্তত দশটি স্থানে অবৈধভাবে বাজার গড়ে তোলা হয়। যাদের প্রত্যেককেই গতকাল সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। উচ্ছেদ করা হয়েছে গরু ছাগল বাঁধার জন্য পোতা বাঁশসহ অস্থায়ী অবকাঠামো।

এ সময় অবৈধ পশু বাজার যারা বসিয়েছে তাদের সতর্ক করা হয়েছে এবং সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন বাজারের কাছে কোনো পশুর হাট বসানো যাবে না বলে ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। রেজাউল করিম বলেন, চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করা হবে। অবৈধভাবে গড়ে উঠা পশুর হাট দেখা গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআরো এক ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৩০
পরবর্তী নিবন্ধপলোগ্রাউন্ড মাঠকে নিয়ে শীঘ্রই মেগা প্রকল্প