জাতীয় নির্বাচনের আগে পাঁচ সিটির ভোট শেষ করতে যাচ্ছে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। এই ধারাবাহিকতায় গাজীপুর, খুলনা ও বরিশালের পর শেষ ধাপে আজ বুধবার ভোট হচ্ছে সিলেট ও রাজশাহী সিটিতে। আগের তিনটির মতো এ দুই সিটি নির্বাচনেও ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএমে। কেন্দ্রে ভোট পরিস্থিতি এবারও সিসি ক্যামেরায় দেখবে কমিশন।
আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ কয়েকটি দল ভোটে অংশ নিলেও নেই বিএনপি। অংশগ্রহণমূলক না হলেও গাজীপুর, বরিশাল ও খুলনা সিটির ভোট ছিল মোটামুটি শান্তিপূর্ণ। তবে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল। বরিশালে এক মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার পর এবার সিলেট–রাজশাহীর ভোট বর্জন করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে কোনো চ্যালেঞ্জের মুখে না থাকলেও কমিশন বরাবরের মতো এবারও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
রাজশাহী ও সিলেটে ভোটের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, প্রতিটি নির্বাচনই আমাদের কাছে সমান চ্যালেঞ্জের। প্রতিটি নির্বাচন থেকে অভিজ্ঞতা নিচ্ছি, সবার প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। সিলেট, রাজশাহী সিটি নির্বাচন এখন আমাদের সামনে। এখানেও শতভাগ নিরপেক্ষভাবে সুষ্ঠুভাবে করতে সক্ষম হব। আমাদের মেয়াদের সবগুলো নির্বাচনই ভালোভাবে করেছি, আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে।
তিনি জানান, ভোটের আগে, ভোটের দিন এবং পরে অনিয়ম, গোলযোগ ও সহিংসতা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। আচরণবিধি প্রতিপালনে স্থানীয়ভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে সব প্রার্থী সমান, সব দলও সমান। ভোটারদের নির্বিঘ্ন পরিবেশ তৈরিতে আমরা বদ্ধপরিকর।
সিলেট : সিলেটে মেয়র পদে প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা), জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (ঘোড়া), মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট), মো. শাহ জাহান মিয়া (বাস) ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরিণ)। এখানে ৪২টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৭২ জন। ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন।
রাজশাহী : রাজশাহীতে মেয়র পদে প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টির মো. সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মুরশিদ আলম (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির মো. লতিফ আনোয়ার (গোলাপ ফুল)। এখানে ১০টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন এবং ৩০টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন।
এদিকে ভোটের তিন দিন আগে মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন জাতীয় পাটির মেয়র প্রর্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন।












