চিনিকল মালিকরা ট্যারিফ কমিশনকে ‘অগ্রাহ্য করে’ নিজেরা দাম বাড়াচ্ছে অভিযোগ করে এ কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় সরব কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাব।
আজ মঙ্গলবার (২০ জুন) এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, “চিনিকল মালিকদের এই সিদ্ধান্ত কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) অযৌক্তিক ও অন্যায় বলে মনে করে। ক্যাব এমন সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। মিল মালিকদের এই ভোক্তা স্বার্থপরিপন্থি সিদ্ধান্ত কার্যকর না করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছে ক্যাব।”
চিনিকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ শুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন গতকাল সোমবার (১৯ জুন) চিনির দাম প্রতি কেজিতে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে জানায়। আগামী ২২ জুন থেকে নতুন দাম কার্যকর হওয়ার কথা।
ক্যাবের বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার প্রতি কেজি খোলা চিনি ১২০ টাকা এবং প্যাকেটের চিনি ১২৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছি কিন্তু বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে নির্ধারিতর চেয়ে বেশি দামে। খুচরা বাজারে খোলা চিনি ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এতে আরো বলা হয়, মিল মালিক ও ডিলারদের কারসাজিতে এখন প্যাকেটজাত চিনি খোলা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় চিনিকল মালিকদের সংগঠনের এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
ক্যাব মনে করে, কোরবানি ঈদের আগে ভোক্তাদের বেশি দামে চিনি কিনতে বাধ্য করে ‘অধিক মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে’ চিনিকল মালিক সংগঠনটি এই ‘অযৌক্তিক ও অন্যায়, ভোক্তাস্বার্থপরিপন্থি’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সংগঠনটি আরো জানায়, চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সরকার কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে চিনিকল মালিক সংগঠনটি চিনির বর্ধিত দাম নিজেরাই নির্ধারণ করে তা বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনকে কার্যকর করার তারিখ জানাচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত কমিশনকে অগ্রাহ্য করার শামিল বলে ক্যাব মনে করে।