তীব্র তাপপ্রবাহে নাকাল ভারতের উত্তর প্রদেশের এক হাসপাতালে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ৫৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। চিকিৎসকরা বলছেন, ৫৪ জনের মৃত্যু আলাদা আলাদা কারণে হলেও, মাত্রাতিরিক্ত গরম এসব মৃত্যুর পেছনে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছে বলেই তাদের ধারণা। একই সময়ের মধ্যে বালিয়া ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও বেড়ে ৪০০ তে পৌঁছেছে বলেও জানিয়েছে এনডিটিভি। ভারতের উত্তরের এই রাজ্যজুড়ে এখন বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রদাহ, অনেক এলাকাতেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। খবর বিডিনিউজের।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, গরমের মধ্যে হঠাৎ করেই মৃত্যু এবং জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও অন্যান্য নানান সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি বেড়ে যাওয়ায় কর্মীরা হিমশিম খাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে সব কর্মীদের সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার ২৩ জন, শুক্রবার ২০ জন আর শনিবার ১১ জন রোগী মারা গেছেন বলে হাসপাতালটির সুপারিনটেন্ডেন্ট এসকে যাদবের বরাত দিয়ে জানিয়েছে এনডিটিভি।
শনাক্ত হয়নি, এমন কোনো রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে কিনা, তা বের করতে লখনৌ থেকে একটি দল বালিয়ায় পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন আজমগড় সার্কেলের স্বাস্থ্য বিষয়ক অতিরিক্ত পরিচালক ড. বিপি তিওয়ারি। তীব্র গরম বা ঠাণ্ডার মধ্যে শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিক ও রক্তচাপজনিত সমস্যা আছে এমন রোগীদের ঝুঁকি বেড়ে যায়, পারদ সামান্য চড়লেই তাদের মৃত্যুও হতে পারে, বলেছেন তিনি।
রোগীর পরিমাণ হুট করে বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালটিতে স্ট্রেচারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যে কারণে কর্মীরা অনেক রোগীকে কাঁধে করেও জরুরি বিভাগে নিয়ে যাচ্ছেন, বলেছে এনডিটিভি। একই সময়ে ১০ রোগী চলে এলে স্ট্রেচার পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে, তবে তাদের পর্যাপ্ত স্ট্রেচার থাকার কথা, বলেছেন তিওয়ারি। তাপপ্রবাহে বিহারে একদিনে ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে। এর মধ্যে কেবল পাটনাতেই মারা গেছেন ৩৫ জন, বলেছে তারা।