এক মাস ধরে কারাবন্দী ছাত্রদল–যুবদলের দুই নেতাকে গত ১৬ জুন হাটহাজারী থানায় দায়ের হওয়া মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার। তাছাড়া ওই মামলার বাদী নিজেই মামলা দায়ের সম্পর্কে অবগত নন বলেও দাবি করেন তিনি।
এছাড়া গত ১৪ জুন তারুণ্যের সমাবেশ শেষে ফেরার পথে মীররসরাই উপজেলা ছাত্রদল নেত্রী নাদিয়া নুসরাতকে শারীরিক নির্যাতনের পর পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয় উল্লেখ করে বলেন, পুলিশ উল্টো নুসরাতকে ২০২২ সালের মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।
গতকাল নাসিমন ভবনসস্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। বক্তব্য রাখেন নুসরাতের মা কোহিনূর আকতার।
উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, হাটহাজারীতে শ্রমিক লীগ নেতা সৈয়দ জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে ২৬ নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বাদীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে আমাদের জানান। ঐ মামলায় ২৬ নং আসামি রেজাউল করিম রকি ৮ মে থেকে এবং দিদারুল আলম ১৭ মে থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে থাকলেও তাদের আসামি করা হয়েছে। রাউজানসহ বিভিন্ন থানায় সম্প্রতি এ ধরনের মামলা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
সাবেক এ রাষ্ট্রদূত বলেন, তারুণ্যের সমাবেশ শেষে রাতে নিজ বাসায় ফেরার পথে মীরসরাইয়ে ছাত্রদল নেত্রী নাদিয়া নুসরাতকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা একটি ঘরে আটকে নির্যাতন করে। শারীরিকভাবে হেনস্তা করে। পরে তাকে থানায় সোর্পদ করলে ২০২২ সালে দায়ের হওয়া জোরারগঞ্জ থানার বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে। এসব বন্ধ না হলে আমরা যে কোনো কর্মসূিচ দিতে বাধ্য হব। তিনি বলেন, তারুণ্যের সমাবেশে মিছিল সহকারে যোগদানের সময় চট্টগ্রাম উত্তর জেলার বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী বাকশালী সন্ত্রাসীরা আমাদের নেতা কর্মীদের উপর হামলা করা হয়। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ভীত ভোটারবিহীন ফ্যাসিস্ট সরকার আবারো গায়েবি মামলা দায়ের শুরু করেছে।
গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, শহীদ জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত ২ নং গেইট বিপ্লব উদ্যানে শহীদ জিয়ার নামফলকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কালি দিয়ে মুছে দেয়। এছাড়াও বিভিন্ন থানায় অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করে এবং ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে যাচ্ছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সমাবেশ বানচাল করার অপচেষ্টা করেও জনস্রোত ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ভীত এখন।
নুসরাতের মা কোহিনুর আক্তার বলেন, আমার মেয়ের কোনো দোষ নেই, তার দোষ সে রাজনীতি করে। রাত ৮টায় খবর পেয়ে আমি ওখানে যায়। তখন দেখতে পায় কিছু ছেলে আমার মেয়েকে নির্যাতন করছে। তখন আমি তাদের বাধা দিলে তারা আমাকে মারধর করে। পরে তারা নির্যাতনের পর থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ মামলা দিয়ে কোর্টে চালান দেয়। আমি আমার মেয়ের নির্যাতনের বিচায় চাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, ছালাহ উদ্দিন, নুর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সরোয়ার আলমগীর, কাজী সালাউদ্দিন, কর্ণেল (অব) আজিমুল্লাহ বাহার, অধ্যাপক আজম খাঁন, এডভোকেট এম এ তাহের, আব্দুল আউয়াল চৌধুরী, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।












