দার্শনিক এবং সমাজবিজ্ঞানীরা মানব সমাজ এবং এর নির্ধারককে বোঝার চেষ্টা করেছেন কিন্তু ঐক্যমত্যে আসতে পারেননি। উদাহরণস্বরূপ ডারউইন প্রকৃতিকে বিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা করেছিলেন যা পরবর্তীতে সমাজবিজ্ঞানীরা বিবর্তনবাদের ধারায় সামাজিক পরিবর্তনকে বোঝার জন্য ব্যবহার করেছেন।
অন্যদিকে কার্ল মার্কস সমাজকে শ্রেণী সংগ্রামের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা করেছেন যা অর্থনীতিই নিয়ামক শক্তি নামে পরিচিত। ফ্রয়েড সমাজ এবং মানব আচরণকে জৈবিক কারণের ভিত্তিতে দেখেছেন যা সৃষ্টি এবং ধ্বংসকে নির্দেশ করে যার মাধ্যমে সভ্যতা এগিয়ে যায়, এটা জৈবিক নির্ণয়বাদ নামে পরিচিত যাতে প্রজননের জন্য যৌন ক্রিয়ার উপর জোর দেয়া হয়েছে।
ফ্রয়েড মনে করেন যৌনতাই জীবন – যৌন চিন্তাই মানুষের সকল কর্মের ও ব্যবহারের ভিত্তিমূল। ফ্রয়েডের মতে কাম প্রবৃত্তি লিবিডো হলো কামজ সহজতর প্রবৃত্তি। লিবিডো’র মূল অর্থ যৌন প্রেরণা। এই লিবিডো মানুষের সকল প্রকার ব্যবহার ও কর্মের নিয়ন্তা। মানুষ কাজ করে যৌন প্রবৃত্তি থেকে এবং যৌন প্রবৃত্তি সমাজের সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করে। শৈশবকাল থেকে বৃদ্ধকাল অবধি মানুষের মধ্যে কামপ্রবৃত্তি বা যৌন চেতনা বর্তমান থাকে। তবে অনেক মনোবিজ্ঞানী লিবিডোকে একমাত্র যৌন প্রেরণা মনে না করে গতিশীল চেতনিক শক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
পশুদেরও যৌন চাহিদা আছে। কিন্তু মানুষ যৌনতাকে নিয়ন্ত্রণ করে ধর্মীয় বিধিনিষেধ, সামাজিক রীতিনীতি এবং মানুষের দ্বারা সৃষ্ট মূল্যবোধের দ্বারা। কিন্তু এই জৈবিক চাহিদা ইড (ID), যৌন আকাঙ্ক্ষা সামাজিক নিয়ম দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না যা যৌন সহিংসতার দিকে পরিচালিত করে।
যৌন হয়রানি/নির্যাতনের কারণ:
০১. যৌন আচরণ সম্পর্কে অজ্ঞতা। ০২. যৌন উত্তেজনা ও উদ্দীপক সামগ্রী। ০৩. আইটি এবং পর্নোগ্রাফির সহজ লভ্যতা। ০৪. অর্থনৈতিক বা অন্যান্য কারণে স্ত্রীর সাহচর্য থেকে দূরে থাকা। ০৫. ত্রুটিপূর্ণ সামাজিকীকরণ। ০৬. দায়মুক্তির সংস্কৃতি। ০৭. আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব। ০৮. শাস্তির ক্ষেত্রে শিথিলতা। ০৯. খোঁড়া যুক্তিতে পার পাওয়া এবং চূড়ান্তভাবে ১০. ফ্রয়েডের দৃষ্টিতে ID– আদিম প্রবণতা
ফ্রয়েডের মতে মানুষের ব্যক্তিত্বের কাঠামোর ৩টি মৌলসত্তা বা উপাদান :
ইড (ID): ইড হল জৈবিক প্রবৃত্তির তাড়না, সহজাত প্রবৃত্তি, তাড়না নোদনা প্রভৃতি নিয়ে হল ইড। এটা মনের আদিম স্তর। মনের অসামাজিক কামনা বাসনা ও ইচ্ছা মনের সমস্ত কামনা বাসনার আশ্রয়স্থল হল ইড। ইড (ID) অভ্যন্তরীণ মন এবং বাইরের পরিবেশের মধ্যে পার্থক্য করে না্থ (দ্য ওয়ার্ল্ড বুক এনসাইক্লোপিডিয়া ১৯৯৩: ৪৫৭)
অহম / ইগো: (Ego) অহম হলো মনের চেতনা বা সজ্ঞান স্তর। “অহম হল যুক্তিবাদী সত্তা, যা “বাস্তবতার নীতি অনুসারে কাজ করে, এক ধরনের নিয়ম, যা নৈতিক বা সামাজিকভাবে বিপজ্জনক না হলে ইড (ID) আবেগের কিছু প্রকাশের অনুমতি দেয়্থ্থ (সার্জন্ট এবং উইলিয়ামসনস, ১৯৬৬ : ৬৮)।
সুপার ইগো: (Super Ego) অধিসত্তা হলো অহমের আরো এক উন্নত অবস্থা যাকে ফ্রয়েড বিবেক বা নীতিবুদ্ধির সঙ্গে তুলনা করেছেন। “সুপার ইগো হল বিবেকের সমতুল্য, যা নৈতিকতা এবং বাঁধা নিষেধ নিয়ে গঠিত। এটি ক্রমাগত অপরাধবোধের সমস্ত অভিব্যক্তিকে দমন করতে অহমকে বাধ্য করার জন্য কাজ করে” (সার্জন্ট এবং উইলিয়ামসনস, ১৯৬৬: ১৬৮)।
ইড ব্যক্তিত্বের জৈবিক উপাদান, অহম মনস্তাত্ত্বিক উপাদান এবং সুপার ইগোকে সামাজিক উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে (হল এবং লিন্ডজ, ১৯৫৭: ৩৬)
ফ্রয়েড মতামত দেন, ইড হল আমাদের আদিম বা বন্য প্রবৃত্তি, আমাদের অচেতন তাগিদ এবং আকাঙ্ক্ষাগুলিকে মূর্ত করে যা সম্পূর্ণরূপে ‘সম্ভোগ নীতি’ অনুসারে কাজ করে। (সার্জন্ট এবং উইলিয়ামসনস, ১৯৬৬: ১৬৮)।
সবার আগে আমাদের যৌন শোষণ (SE), যৌন নির্যাতন (SEA) এবং যৌন হয়রানি (SH) সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা উচিত। সাধারণতঃ এগুলিকে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা (GBA) বলা হয় তবে সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে এগুলি বিচ্যুতআচরণ,স্বাভাবিক নয়।
সমাজবিজ্ঞানী লুইস ওয়েস্টনের মতানুসারে, “Deviance can be defined as behavior that is contrary to the standards of conduct or social expectations of a given group or society”. “বিচ্যুতিকে এমন আচরণ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে যা আচরণের মানদন্ড, গোষ্ঠী বা সমাজের সামাজিক প্রত্যাশার বিপরীত।
যৌন শোষণ ও নির্যাতন (SEA)
যৌন শোষণকে সংজ্ঞায়িত করা হয় একজন ব্যক্তির দুর্বলতার সুযোগে (যেমন একজন ব্যক্তি বেঁচে থাকার জন্য আপনার উপর নির্ভর করে, খাদ্য রেশন, স্কুল, বই, পরিবহন বা অন্যান্য পরিষেবা), নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে, অর্থ বা অন্যান্য সামাজিক, অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে যৌন সুবিধা ভোগ এর মধ্যে রয়েছে পাচার ও পতিতাবৃত্তি।
যৌন নির্যাতন / নিপীড়ন বলতে বোঝায় অবস্থানগত অসমতার সুবাদে চাপ ও হুমকির মাধ্যমে শারীরিক সর্ম্পক, তা বল প্রয়োগের মাধ্যমে হোক বা অসম বা জবরদস্তিমূলক অবস্থার কারণে হোক। এর মধ্যে রয়েছে যৌন দাসত্ব, পর্ণোগ্রাফি, শিশু নির্যাতন এবং যৌন নিপীড়ন।
যৌন হয়রানি (SH):
জাতিসংঘ মহাসচিবের বুলেটিনে (২০০৮) যৌন হয়রানিকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে:
“যৌন হয়রানি হল কোন অনাকাঙ্খিত যৌন আবেদন, যৌন সুবিধার জন্য অনুরোধ, মৌখিক বা শারীরিক ইঙ্গিত আচরণ বা যৌন প্রকৃতির অঙ্গভঙ্গি, বা যৌন প্রকৃতির অন্য কোনও আচরণ যা যুক্তিসঙ্গতভাবে অপ্রত্যাশিত বা অন্যের জন্য অপরাধ বা অপমানিত হতে পারে বলে মনে করা যেতে পারে, যখন এই ধরনের আচরণ কাজের মধ্যে হস্তক্ষেপ করে, কর্মসংস্থানের শর্তে পরিণত হয় বা একটি ভীতিকর, প্রতিকূল বা আপত্তিকর কাজের পরিবেশ তৈরি করে। আচরণের একটি ধরণ এটি একটি একক ঘটনা। বিপরীত বা একই লিঙ্গের ব্যক্তিদের মধ্যে যৌন হয়রানি ঘটতে পারে। পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই শিকার বা অপরাধী হতে পারে।”
বাংলাদেশে, যৌন হয়রানি নারীদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক বেশি নারী ঘরের বাইরে কাজ করছে এবং শিক্ষা ও কাজের সুযোগ পাচ্ছে, সামপ্রতিক দশকগুলোতে যৌন হয়রানি / নির্যাতন একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে আমাদের সমাজে।
ইয়াসমীন, সীমা, নুসরাত জাহান ও সোহাগী জাহান তনু যৌন লালসার বলি হাজারো নারী শিশুর মধ্যে ক’টি নাম মাত্র।
লিঙ্গ, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, পাহাড়, সমতল, উপকূল, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তি বাংলাদেশের সংবিধানে সবার জন্য সমঅধিকারের অঙ্গীকার রয়েছে :
বাংলাদেশের সংবিধানে বিভিন্ন ধারায় নারী ও পুরুষ উভয়ের সমঅধিকার নিশ্চিত করে:
ধারা ১১ – গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার।
ধারা ১৫ – সামাজিক নিরাপত্তাসহ মৌলিক প্রয়োজন।
ধারা ১৯ (১) – সুযোগের সমতা।
ধারা ২৮ (২) – সমান অধিকার।
ধারা ৩২ – জীবন এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার।
ধারা ৩৬ – চলাফেরার স্বাধীনতার অধিকার।
ধারা ৩৯ – চিন্তা, বিবেক ও বাক স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক উদ্যোগ :
= ১৯৮১ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর প্রণীত নারীর প্রতি সকল বৈষম্য বিলোপ সিডও (CEDAW – Convention on the Elimination of All Forms of Discrimination against Women) সনদের ১০ অনুচ্ছেদে শিক্ষা ক্ষেত্রে নারী পুরুষের সমান অধিকার, ১১ অনুচ্ছেদে কর্ম সংস্থানের অধিকার, পেশা বা চাকুরী বেছে নেয়ার অধিকার, পদোন্নতি, চাকুরীর নিরাপত্তাসহ বৈষম্যহীনভাবে সকল সুবিধা ভোগের অধিকার সম্পর্কে বলা হয়েছে। এ সনদে স্বীকৃত অধিকার সমূহের পূর্ণ বাস্তবায়ন অর্জনের লক্ষ্যে অনুস্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় পর্যায়ে সকল ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাংলাদেশ ১৯৮৪সালে সিডও (CEDAW) সনদে স্বাক্ষর করে।
= নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা সংক্রান্ত জাতিসংঘের ঘোষণা ১৯৯৩
= SDGs: লক্ষ্য – ৫ : লিঙ্গ সমতা অর্জন এবং নারীর ক্ষমতায়ন।
= বেইজিং কর্মপরিকল্পনা
= ILO সহিংসতা এবং হয়রানি কনভেনশন ২০১৯ (কনভেনশন নং ১৯০)
আইনী উদ্যোগ
সাংবিধানিক অঙ্গীকার এবং CEDAW–এর স্বাক্ষরকারী হিসেবে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে নারীদের যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে কার্যকর সুরক্ষা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ :
বিরাজিত আইন :
দন্ড বিধি ১৮৬০
ধারা: ৩৫৪
শ্লীলতাহানির উদ্দেশ্যে কোন স্ত্রীলোকের উপর আক্রমণ বা অপরাধজনক বলপ্রয়োগ।
কোন লোক যদি, কোন স্ত্রীলোকের শ্লীলতাহানির ইচ্ছায় বা সে তদ্বারা তার শ্লীলতাহানী হতে পারে জেনে তাকে আক্রমণ করে বা তৎপ্রতি অপরাধজনক বলপ্রয়োগ করে, তা হলে সে লোক যে কোন বর্ণনার কারাদন্ডে, যার মেয়াদ দুই বৎসর পর্যন্ত হতে পারে বা জরিমানা দন্ডে বা উভয় প্রকার দন্ডে দন্ডিত হবে।
এই ধারায় কোন নারীর শ্লীলতাহানি করার লক্ষ্যে কৃত কোন কার্যকে শাস্তিযোগ্য বলে পরিগণিত করা হয়েছে। নারীর শালীনতা নষ্ট করার অভিপ্রায়ে কিংবা তার শালীনতা নষ্ট হতে পারে জেনে কোন নারীকে আক্রমণ করা কিংবা অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ করা ৩৫৪ ধারা মোতাবেক অপরাধ। এটার শাস্তি হচ্ছে দুই বৎসর কারাদন্ড বা জরিমানা বা উভয়বিধ দন্ড। নারী জাতিকে রক্ষার জন্য দুইটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা এ দন্ডবিধিতে বর্তমান। তা হচ্ছে ৩৫৪ ও ৩৭৬। এটা ছাড়া দন্ডবিধিতে নারীর হেফাজতমূলক অপর ধারাও বিদ্যমান আছে।
ধারা : ৫০৯
বর্তমান ধারায় কোন নারীর শালীনতার ক্ষুন্নকারী কোন মন্তব্য, অঙ্গভঙ্গী কার্যকে দন্ডনীয় বলে গণ্য করা হয়েছে। এ ধারার অপরাধের জন্য এক বৎসরের কারাদন্ড কিংবা জরিমানা বা উভয় বিধ দন্ড হতে পারে। নারীর শালীনতা একটি মূল্যবান সম্পদ। শালীনতা ও সম্ভ্রমের হানিকর কিংবা অমর্যাদার কোন উক্তি, মন্তব্য কিংবা অঙ্গভঙ্গী দন্ডনীয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে নারীর শালীনতা সংরক্ষণের প্রয়োজনে এরূপ নিয়ম করা হয়েছে।
৪নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন –২০০৩, সংশোধিত।
৪ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬। (সংশোধিত ২০১৮)
৪ বাংলাদেশের সকল মেট্রোপলিটন শহরের জন্য মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৮।
৪সাক্ষ্য আইন ১৮৭২ (সংশোধনী) বিল – ২০২২ ৩রা নভেম্বর ২০২২ তারিখে সংসদে পাস হয়েছে।
৪ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোট, হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা ; ২০০৯ এবং ২০১১
যৌন হয়রানিমুক্ত শিক্ষা ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হাইকোর্ট ১৪ মে ২০০৯ সালে একটি দিকনির্দেশনামূলক নীতিমালা প্রদান করেন। এ নীতিমালার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো:
ক) যৌন নির্যাতন সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা;
খ) যৌন নির্যাতনের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা;
গ) ‘যৌন নির্যাতন শাস্তিযোগ্য অপরাধ’।
উক্ত নীতিমালা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের ১১১ অনুেচ্েছদ অনুযায়ী (যেখানে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বাধ্যতামূলক কার্যকরতা সম্পর্কে বলা হয়েছে) কার্যকর হবে।
মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী যতদিন পর্যন্ত এ বিষয়ে উপযুক্ত আইন প্রণয়ন না হবে ততদিন পর্যন্ত সকল সরকারী বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কর্মক্ষেত্রে এই নীতিমালা অনুসরণ এবং পালন করা হবে।
এ নীতিমালার ৩ ধারা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান সমুহে নিয়োগদাতাগণকে যে সকল কর্তব্য পালন করতে হবে তা হলোঃ
যৌন হয়রানিমূলক সকল প্রকার ঘটনাকে প্রতিরোধ করতে একটি কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিগণ প্রয়োজনে তার প্রতিষ্ঠানে সংঘটিত যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করার জন্য যথাযথ কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা; (চলবে)
লেখক : সমাজ বিজ্ঞানী ও সিনেট সদস্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং চেয়ারম্যান ঘাসফুল ।











