লামা উপজেলার ফাইতং এলাকা থেকে বিক্রির উদ্দেশ্যে ভ্যানে করে চোরাই পথে পাচার ও মওজুদ করা প্রায় ৭শ’ কেজি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্য বই জব্দ করা হয়েছে। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় ভ্যানে করে পাচারকালে ১৬৯ কেজি এবং বিকালে অভিযান চালিয়ে আরো ৫৩১ কেজি পাঠ্য বই জব্দ করা হয়। লামা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাহাতুল ইসলাম এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
সূত্র জানায়, রবিবার সকালে ফাইতং ইউনিয়ন থেকে ভ্যানে করে চকরিয়া পাচারকালে স্থানীয় জনতা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৬৯ কেজি সরকারি পাঠ্য বই জব্দ করা হয়। এসময় ভ্যান চালককে আটক করা হলে তার দেয়া তথ্য মতে ফাইতং ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকার জনৈক বাদল কান্তি দের বাড়ির ভাড়াটিয়া জান্নাতুল বকেয়া রেখা নামে এক মহিলার রুমে অভিযান চালিয়ে আরো ৫৩১ কেজি পাঠ্য বই জব্দ করা হয়েছে। প্রশাসন ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই মহিলা পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ঘটনাস্থল লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড নয়াপাড়া এলাকায় পড়েছে। তবে বই গুলো কোন স্কুলের তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শেখ শামীম বলেন, জব্দকৃত বই গুলো ৩য়, ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণীর। বই গুলোর মধ্যে ২০২৩ সালের এবং পুরাতন বইও রয়েছে। কিভাবে এতো বই কালোবাজারে আসছে বা জান্নাতুল বকেয়া রেখার কাছে এসেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভ্যান চালককে আটক করা হয়েছে। জব্দকৃত বই ও ভ্যান চালককে লামা থানায় পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে লামা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু নোমান মো. আব্দুল্লাহ বলেন ৩য়, ৪র্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর যে সকল বই জব্দ করা হয়েছে, তা আমাদের নয়। আমাদের বই হলে সেখানে আমাদের সীল থাকতো। লামা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফরিদুল আলম হোসাইনি জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেটের নেতৃত্বে প্রশাসন এবং আমার অফিসের লোকজন গিয়ে বই গুলো জব্দ করে নিয়ে আসে। যার ঘর থেকে বই জব্দ করা হয়েছে সে মহিলা পলাতক রয়েছে। বইয়ের তালিকা করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।