বাবা, আমি তোমার ছোট্ট ছেলে। তুমি আমাদের ছেড়ে চলে গেছ প্রায় ১৬ বছর হল। তোমার কথা আমার খুব মনে পড়ে। কেমন আছো তুমি? হয়তো আমার থেকে অনেক ভালো। কিন্তু তোমার জীবদ্দশায় স্বপ্নের সেই সোনালী দিনগুলোতে আমাদের ভালো রাখতে গিয়ে তুমি আর ভালো থাকো নি। সেটা ছোটবেলায় না বুঝলেও আমি এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। শোন বাবা, আমার কিন্তু আজও ইচ্ছে করে তোমার অনামিকা ধরে হাঁটতে, তোমার হাত ধরে সাঁতার কাটা শিখতে, তোমার কাঁধে বসে চাঁদ ধরতে আর তোমার কোলে বসে নীল আকাশের তারা গুনতে। ধুর ছাই! তুমি তো আমায় ফেলে আকাশে বিজলির মতো ভাসছো। আমায় কেন সঙ্গে নাওনি? এরকম চলে যাওয়াটা মনে হয় সৃষ্টিকর্তা খুবই পছন্দ করেন? আচ্ছ! বাবা আমি যখন তোমার মতো বাবা হব, তখনও কি এভাবে সংসার ছেড়ে একদিন চলে যাব? না বাবা, ঐ দিনটার কথা ভাবলে আমার খুবই কষ্ট হয়। তোমরা বাবারা এসব পারোও বটে!
বাবা, তুমি এখন সবার স্পর্শ–সীমানার বাইরে। সব অভিমান–অনুযোগের ঊর্ধ্বে। যখন–তখন‘ বাবা’ বলে ডাকলেও আর প্রতিউত্তর পাই না। না বলা কত কথা যে বুক–গহীনে জমা, বলতে পারি না কাউকে। শুধু প্রায় রাতেই, আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল তারাটির দিকে তাকিয়ে বলি বাবা, তোমাকে ভীষণ রকম মিস করছি। ভালো থেকো বাবা, অনেক ভালো। সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই প্রার্থনা, সেই ছায়ায় মায়ায় মাখামাখি মুখ আবার দেখিয়ো প্রভু।