কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য’র ‘দুর্মর’ কবিতার পঙ্ক্তি ‘সাবাস বাংলাদেশ, এই পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়, জ্বলে পুড়ে–মরে ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নয়’ অনুধাবনে ৭ জুন ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, ‘দেশি–বিদেশি যত চাপই আসুক না কেন, বাঙালিরা কখনোই সেই চাপের কাছে মাথা নত করবে না। আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে, এ দেশ আমাদের। এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আমরা কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। আমরা সংগ্রামের মাধ্যমে এদেশে গণতন্ত্র এনেছি। আমরাই আমাদের দেশের মানুষের অধিকার রক্ষা করব। ছয় দফা ছিল বাংলাদেশের জনগণের মুক্তি সনদ। এর মাধ্যমে দেশের অগ্রযাত্রা সম্ভব হয়েছে এবং বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।’ দেশের জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি আরও বলেন, ‘গত সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশে ব্যাপক পরিবর্তন ও উন্নয়ন হয়েছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’
আমাদের সকলের জানা, পবিত্র সংবিধানে জনগণ রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার উৎস হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। স্বাধীন–সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্রের নাগরিকবৃন্দের সংবিধান সম্মত সকল অধিকার অবারিত ভোগ করা সর্বত্রই সুনিশ্চিত। মৌলিক অধিকার সমুন্নতসহ নানাবিধ ধর্মীয়–আর্থসামাজিক–রাজনৈতিক–সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞে জনগণের অবাধ–স্বাধীন অংশগ্রহণ ও সার্বিক উপভোগের নিশ্চয়তা সুরক্ষিত। বিশ্বের প্রতিটি দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন–ক্ষমতার পালাবদলের পরিক্রমা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় জনগণের ভূমিকাই মুখ্য। অহিংস–পরমতসহিষ্ণুতার বিরাজিত পরিবেশে যথাযথ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে অধিকাংশের রায়ের ভিত্তিতে সরকার কাঠামো পরিবর্তনের ধারা সর্বজনস্বীকৃত। নির্বাচনে ধর্ম–বর্ণ–দল–মত–নারী–পুরুষ–অঞ্চল নির্বিশেষে প্রাপ্তবয়স্ক ভোটারদের ন্যায্য অধিকার প্রয়োগে নির্ধারিত সময়ের জন্য রাষ্ট্র পরিচালনায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা পায়। সৎ–যোগ্য–মেধা–প্রজ্ঞা–দেশপ্রেমে ঋদ্ধ ও জনগণের স্বার্থ সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দুঃসময়ে পরিক্ষীত নেতৃত্বকেই জনপ্রতিনিধিরূপে নির্বাচিত করে জনগণ তাদের পবিত্র সংবিধান সম্মত ন্যায় সংগত অধিকার ভোগে বদ্ধপরিকর। উন্নত–উন্নয়নশীল–অনুন্নত বিশ্বের সকল দেশসমূহে সরকার পরিবর্তনের প্রচলিত নিয়ম একই প্রবাহে সঞ্চারিত।
অতিসম্প্রতি দেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কতিপয় রাষ্ট্রসমূহের অপাংক্তেয়–অনিভিপ্রেত কর্মযজ্ঞে দেশের সচেতন মহলসহ আপামর জনগণের হৃদয়ে অপরিমেয় কৌতুহল–উদ্বেগ নির্মিত হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য; বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার মিথ্যা অজুহাতে তারা চলমান সরকারকে বিপর্যস্ত করার অপকৌশল অবলম্বনে জনগণকে বিভ্রান্ত করার নানামুখি ষড়যন্ত্রসহ নানা অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে। অযাচিত–অগ্রহণযোগ্য এমন কিছু ব্যবস্থা–সবক–পরামর্শপত্র চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা হচ্ছে যা পরিপূর্ণভাবে পরিত্যাজ্য। উন্নত বিশ্বে সংঘটিত ঘৃণ্য ঘটনাপ্রবাহকে আড়াল করে অনুন্নত বিশ্বের দেশসমূহের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অনর্থক এ ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। সামরিক জান্তা নিয়ন্ত্রিত মিয়ানমার সরকারের উপর ন্যূনতম চাপ প্রয়োগে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধন–মানবাধিকার সুরক্ষায় নিদারুণ ব্যর্থ কথিত উন্নত দেশসমূহের বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এদের কদর্য চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ অবশ্যই নিন্দনীয়।
৮ জুন ২০২৩ প্রকাশিত গণমাধ্যম সূত্রমতে, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধ এবং বাংলাদেশের জনগণকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে জরুরি উদ্যোগ নিতে গত ২৫ মে মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিকট রিপাবলিকান দলীয় ৬ কংগ্রেসম্যানদের দেওয়া চিঠির আসল রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রের দাবি, বিশেষ একটি কোম্পানিকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহে অনৈতিক বাণিজ্য সুবিধা না দেওয়ায় বাংলাদেশের উপর ক্ষিপ্ত হয়েছেন ঐ কংগ্রেসম্যানরা। এদের এই অপতৎপরতার নেপথ্যে কোম্পানির সাথে সে দেশের রাজনীতিকদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। পরিবেশিত সংবাদ অনুযায়ী, মার্কিন কোম্পানি লিন্ডেন এনার্জিকে বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহের বড় ব্যবসা পাইয়ে দিতে বিগত কয়েক বছর যাবৎ নানা অপতৎপরতা অব্যাহত ছিল। কোম্পানিটি এলএনজি সরবরাহে চাওয়া অগ্রাধিকারমূলক সুযোগের বিনিময়ে তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত মার্কিন রাজনীতিকরা সে দেশের সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার মৌখিক ও লিখিত প্রস্তাব দেয়। উক্ত চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছে পেনসিলভানিয়ার স্কট পেরি, আলাবামার বেরি মুর, ওহাইও রাজ্যের ওয়ারেন ডেভিডসন, ভার্জিনিয়ার বব গুড, টেনাসির টম বারচেট ও টেঙাস এর কিথ সেলফ প্রমূখ। ২ জুন ২০২৩ কংগ্রেসম্যান বব গুড ঐ চিঠিসহ একটি বিবৃতি নিজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করেন।
২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রদূতকে দেওয়া ‘পদ্মা এলএনজি ফলোআপ’ শিরোনামের চিঠিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত বাণিজ্য সুবিধা পেলে বাংলাদেশের র্যাব ও এর কর্মকর্তাদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য যাতে ‘অগ্রাধিকারমূলক প্রবেশাধিকার’ পায় সে বিষয়েও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কথা জানানো হয়েছিল। শুধু তাই নয়; কোম্পানিটির আগ্রহপত্রে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিন্ডেন এনার্জির উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং আগামী নির্বাচনে বিপাবলিকান পার্টির সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মাইক পম্পেও স্বাক্ষর করবেন বলে অবহিত করেছিল। চিঠিতে আরো বলা হয়, ‘এই নিষেধাজ্ঞাগুলো এমন এক বিস্ময়কর সময়ে এসেছে, যখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন দুই দেশের মধ্যে উন্নয়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করার ব্যাপারে তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। আমরা বিশ্বাস করি যে, আমাদের প্রস্তাবিত এলএনজি বা এফটিএ চুক্তি এগিয়ে নিতে পারলে এই অঙ্গীকার রক্ষার জন্য সহায়ক হবে। পাশাপাশি এই নিষেধাজ্ঞার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে সৃষ্ট সম্পর্কের টানাপোড়েন নিরসনেও ভূমিকা রাখবে।’
প্রাসঙ্গিকতায় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতানুসারে, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র কথা বলে। এটা যতটা না ইস্যুগুলোর জন্য, তার চেয়ে বেশি তাদের জাতীয় স্বার্থ আদায়ে, বিশেষ করে ব্যবসায়িক সুবিধা পেতে এই ইস্যুগুলো টুল হিসেবে ব্যবহার করে। সাম্প্রতিক মার্কিন নতুন ভিসা নীতিতেও তারা জাতীয় স্বার্থ ও পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্যের কথা বলেছে। তাই এলএনজি ব্যবসার জন্য এমন কিছু ঘটলে অবাক হব না। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশনকে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত। বিশেষ করে ৬ কংগ্রেসম্যানের সঙ্গে ঐ কোম্পানির সংশ্লিষ্টতা খুঁজে বের করতে হবে।’
চলতি মাসের ১২ তারিখ নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বাংলাদেশে অবাধ, স্বচ্ছ ও পক্ষপাতহীন সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ এবং চলমান সংকটে সরকার, বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে টেকসই–গণতান্ত্রিক পন্থায় সমাধান খুঁজে বের করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে সংস্থাটির ছয় এমপি আহ্বান জানিয়েছেন। ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেপ বরেলকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ইইউ নেতৃত্ব কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে আইনের শাসন এবং মানবাধিকার নিয়ে পুরো বিশ্বে প্রচার করে থাকে। বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতার দীর্ঘদিনের অংশীদার হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ইইউর জোরালো কারণ রয়েছে। ইইউকে বাংলাদেশের সঙ্গে শুধু মানবাধিকার নিয়ে নিরবচ্ছিন্ন সংলাপে থাকলে হবে না, সংলাপের বাস্তব ফলাফলও তৈরি করতে হবে।’ একই সাথে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িতদের ইইউ দেশগুলোতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা এবং জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে শর্তগুলো মনে করিয়ে দেওয়ার মতো সম্ভাব্য ব্যবস্থাগুলো নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। ঐ ছয় এমপি হলেন– স্লোভাকিয়ার স্টেফানেক ইভান, চেক প্রজাতন্ত্রের মাইকেলা সোজড্রোভা, বুলগেরিয়ার আন্দ্রে কোভাতচেভ, ডেনমার্কের কারেন মোলচিওর, স্পেনের জাভিয়ের নার্ট এবং ফিনল্যান্ডের হেইডি হাউটালা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত নতুন ভিসানীতিরও সমালোচনা করেছেন। ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলেন, ‘কে আমাদের ভিসা দেবে না, কে আমাদের স্যাংশন দেবে, ওনিয়ে মাথাব্যথা করে লাভ নাই। বিশ ঘণ্টা প্লেনে জার্নি করে, আটলান্টিক পার হয়ে, ঐ আমেরিকায় না গেলে কিচ্ছু আসে যায় না। পৃথিবীতে আরো অনেক মহাসাগর আছে, অনেক মহাদেশ আছে। সেই মহাদেশের সাথে মহাসাগরেই আমরা যাতায়াত করবো আর বন্ধুত্ব করবো। আমাদের অর্থনীতি আরও মজবুত, আরো উন্নত, আরো চাঙা হবে।’ উল্লেখ্য যে, ২৪ মে ২০২৩ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের ধারা ২১২/ (এ)(৩)(সি) (“৩সি”) এর অধীনে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যেকোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপে সক্ষম হবে। দেশরত্ন শেখ হাসিনা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যে বক্তব্য–প্রস্তাবনা দেশে–বিদেশে উপস্থাপন করেছেন তার প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে; পবিত্র সংবিধানের আলোকে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগে পক্ষপাতশূন্য অবাধ–সুষ্ঠু–নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিভিন্ন দল–জনগণের স্বতঃম্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে সর্বমহলে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া।
১৫ জুন ২০২৩ গণমাধ্যম সূত্রানুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে চীন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখন্ডতা বজায় রাখতেও সার্বিক সহায়তা করার বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। চীনের গ্লোবাল টাইমস পত্রিকার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েবিন জানান, ‘প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার মন্তব্য আমাদের নজরে এসেছে। তিনি শুধু বাংলাদেশি জনগণের অবস্থানের দৃঢ় অবস্থান ব্যাখ্যা করেননি, আন্তর্জাতিক জনগোষ্ঠী বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর একটি বৃহত্তর অংশের মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। একটি দেশ নিজেদের বর্ণবৈষম্য, অস্ত্রের সহিংসতা ও মাদক সমস্যার প্রতি নজর না দিয়ে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অজুহাত দিয়ে বাংলাদেশসহ অনেক উন্নয়শীল দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাচ্ছে। সব ধরনের আধিপত্যবাদ ও শক্তির রাজনীতির বিরুদ্ধে আমরা বাংলাদেশসহ অন্য সব দেশের সঙ্গে কাজ করব।’ সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণে নির্দ্বিধায় ব্যক্ত করা যায়; সত্যের কাঠিন্যে দেশের আপামর জনগণের ঐক্যবদ্ধতায় জাতীয় কবি নজরুলের অমিয় পঙ্ক্তি ‘অসত্যের কাছে কভু নত নাহি হবে শির, ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর’ উচ্চকিত থাকবেই।
লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়








