বিয়ের সাত মাসের মাথায় ব্যাংক কর্মকর্তার আত্মহত্যা

পটিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ১৭ জুন, ২০২৩ at ৫:৩০ পূর্বাহ্ণ

পটিয়ায় পারিবারিক ঝগড়ার জের ধরে বিয়ের সাত মাসের মাথায় এক ব্যাংক কর্মকর্তার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নে জাহাঙ্গীর আলম (২৮) নামের এ ব্যাংক কর্মকর্তা আত্মহত্যা করে।

সে কুসুমপুরা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মনসা গ্রামের ফোরক সওদাগর বাড়ির আইয়ুব আলীর পুত্র এবং ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার জুনিয়র অফিসার। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় এ ব্যাংক কর্মকর্তা নিজ বসতঘরে একটি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে। জানা গেছে, উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের মনসা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের সাথে ৭ মাস পূর্বে একই উপজেলার গৈড়লার টেক এলাকার মোহাম্মদ হারুনের কন্যা জেরিন আকতারের বিয়ে হয়। প্রায় সময় জেরিন আকতারের সাথে শ্বশুর বাড়ির পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ঝগড়া লেগে থাকতো। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গত বুধবারও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার পর থেকে জেরিন বাপের বাড়িতে চলে যায়। শুক্রবার ব্যাংক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর শ্বশুড় বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরে এসে একটি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে। ঘটনার পর পরিবারের লোকজন ব্যাংক কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য আকলিমা আক্তার জানিয়েছেন, ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রীর পারিবারিক কাজকর্ম না করা নিয়ে পারিবারের সাথে বেশ কিছুদিন ধরে সামান্য মনোমালিন্য চলে আসছিল। এ অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তার পিতা আয়ুব আলী পুত্রবধূর পরিবারে অভিযোগ দেয়। তা নিয়ে আত্মহত্যাকারী জাহাঙ্গীরের সাথে তার পিতার বাকবিতন্ডা হয়। পরে তারা স্বাভাবিকভাবে যার যার মত কাজকর্ম এবং খাবার দাবারও খায়। এরপর জাহাঙ্গীরের আত্মহত্যার ঘটনা শুনা যায়। তবে আসলে কি ঘটনা বা আত্মহত্যার মূল কারণ জানা যায়নি।

পটিয়া থানার ওসি প্রিটন সরকার জানিয়েছেন, ব্যাংক কর্মকর্তা ঘরের একটি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসব গুম-খুনের বিচার করা হবে : খসরু
পরবর্তী নিবন্ধছয় গুণী পেলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ একাডেমি পুরস্কার