চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) সায়েন্টিফিক সোসাইটির (সিইউএসএস) উদ্যোগে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদে তৃতীয় বারের মতো আয়োজিত হয়েছে ‘চট্টগ্রাম সাইয়েন্স কার্নিভাল–৩.০’। এদিন সকাল ১১টায় অনুষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। সিইউএসএস’র সভাপতি মিজানুর রহমান শিহাবের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানভীতি দূর করতে এ মেলা অত্যন্ত কার্যকর এবং ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত মেধাবী ও সম্ভাবনাময়। তাদেরকে প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক শিক্ষায় গড়ে তুলতে পারলে একদিকে যেমন ভবিষ্যতে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ ঘটবে অন্যদিকে দেশ–জাতি উপকৃত হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপ–উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে। এসময় তিনি বলেন, অতিমাত্রায় প্লাস্টিক ব্যবহারের কারণে পৃথিবী হুমকির মুখে দাঁড়িয়েছে। এখন বিজ্ঞানীদের উচিত কিভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এই প্লাস্টিক ডি–কম্পোজড করে পরিবেশের ক্ষতি কমিয়ে আনা যায় তার একটি পদ্ধতি বের করা। আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদ হোসেন, চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাইয়েন্টিফিক সোসাইটির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল–ফোরকান, উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা আঁখি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে ‘নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৌরশক্তি গবেষক ও বিজ্ঞানী এবং ইউনিভার্সিটি অব সাইয়েন্স এন্ড টেকনোলজি চিটাগাং এর উপ–উপাচার্য অধ্যাপক ড. নওশাদ আমিন। তিনি বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের পৃথিবীর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে। মেরু অঞ্চলের বরফ গলে গিয়ে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের উচিত সৌরশক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা।
এছাড়াও এদিন সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষ ও ড. মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের প্রজেক্ট প্রদর্শন। এতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাদের তৈরি বিভিন্ন প্রজেক্ট প্রদর্শন করেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল জলাবদ্ধতা নিরসনে আন্ডার রোড ড্রেনেজ সিস্টেম, ইলেকট্রনিক ফোল্ট্রি ফার্ম, মেডিসিন মেশিন, নিরাপদ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ রেলওয়ে সিস্টেম, পাহাড়ি রাস্তায় নিরাপদ যান চলাচলের জন্য সেন্সর সিস্টেম ইত্যাদি। এতে স্কুল, কলেজ ও ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি প্রফেশনালরাও অংশগ্রহণ করেন।