সীতাকুণ্ডের চট্টগ্রাম–ঢাকা মহাসড়ক হয়ে ফেনীগামী একটি অ্যাম্বুলেন্স থেকে ২২ হাজার ৩৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও তার হেলপারের যাবজ্জীবন, ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
তারা হলেন, নগরীর সদরঘাটের মতিয়ারপুল এলাকার মৃত রফিক আহাম্মেদের ছেলে মো. শাহিদ সোহেল (চালক) ও টেকনাফের নাইক্ষ্যংখালী এলাকার শিমুল শর্মা (হেলপার)। গতকাল চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সরওয়ার আলম এই রায় ঘোষণা করেছেন। এ সময় শিমুল শর্মা কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর আসামি শাহিদ সোহেল পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মাদক পাচার চেষ্টার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও তার হেলপারকে এ কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৩১ আগস্ট সীতাকুণ্ডের চট্টগ্রাম–ঢাকা মহাসড়ের ভাটিয়ারী ফিলিং স্টেশনের সামনে মাদক উদ্ধারের এ ঘটনা ঘটে। সেদিন চট্টগ্রাম নগরী হয়ে ফেনীর উদ্দেশ্যে একটি সাদা রংয়ের টয়োটা অ্যাম্বুলেন্স করে মাদক নিয়ে যাচ্ছিলেন আসামিরা। এমন তথ্যের ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্সটি আটকিয়ে তল্লাশি চালায় র্যাব। একপর্যায়ে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতর থেকে ২২ হাজার ৩৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয় এবং অ্যাম্বুলেন্সটির চালক ও তার হেলপারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় র্যাব–৭ এর ডিএডি মো. শহিদুল আলম দণ্ডপ্রাপ্ত দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করেন। আদালতসূত্র জানায়, এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে চার্জশিট দিলে বিচার শুরু করেন আদালত।