লাল সবুজের বাংলাদেশ

মাছরুর চৌধুরী | বুধবার , ১৪ জুন, ২০২৩ at ১০:০১ পূর্বাহ্ণ

জীবন আসলে এক চলন্ত ট্রেন। পার্থক্য এতটুকু চলন্ত ট্রেনে পেট্রোল কিংবা ডিজেল দিয়ে জীবন্ত রাখতে হয়, অপরদিকে মানবজীবন জীবন্ত বা বাঁচিয়ে রাখতে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসার বিকল্প নেই। সকাল অবধি রাত পর্যন্ত প্রতিনিয়ত এ জীবনযুদ্ধ চলমান। কেউ সামান্য সুখে সুখী হয়ে তৃপ্ত, আবার কেউ কেউ সুখ সুখ করে প্রার্থনায় মশগুল। সবার মনে প্রাণে ধ্যানে এরই নাম জীবন। যারা বাস্তববাদী তারা মনে করেন, মানুষের কর্মের মাঝেই সে প্রকৃত সুখ খুঁজে বেড়ায়। আবার কেউ কেউ সুখ খুঁজে নিতে বিদেশে পর্যন্ত পাড়ি জমায়। তারা নিজেকে মেশায় উন্নত খাবার, পোশাক পরিচ্ছেদ তথা আনুষঙ্গিক জীবন যাপনের সাথে। তবে বলাবাহুল্য, যে নিজ দেশে লালিত পালিত হয়ে সুখের নীড় খুঁজে পায়, সেই প্রকৃত সুখী। এ দেশের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে আনাচে কানাচে রয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকার গন্ধ। এই সবুজটার মাঝে ভেসে উঠে আপন ইচ্ছা অনিচ্ছায় ফুটে সবুজ প্রকৃতি, যেখানে সে স্বতন্ত্র ভূমিকা রাখে। আর লাল বৃত্তের মাঝে রয়েছে সেই সূর্যি মামাটা। যে আলো দিয়ে এ দেশ নয় শুধু পুরো পৃথিবীটাকে আলোকিত করে রেখেছে। জীবনের তাগিদে হয়তো কেউ কেউ প্রবাস জীবনকে বেছে নিয়েছে। কিন্তু প্রকৃত সুখ এই বাংলাতেই চুপটি করে বসে আছে। শুধু একটু আধটু ভালোবাসা আর কিছু মৌলিকতার অভাবের তাড়না না থাকলেই সে সুখটি বুকে জড়িয়ে নিতে সম্মতি প্রদানে বাধ্যই বলা চলে। তাই জীবনের প্রয়োজনে বহিঃবিশ্বে কর্মস্থলই আসল ঠিকানা নয়, আসল ঠিকানাতো এই জন্মস্থান, এই বাংলা। হয়তো প্রবাস জীবন বিলাস বহুল, কিন্তু বাংলার মাটি ভেদ করে ফুটে উঠা বেলি, কামিনী, রজনীগন্ধার প্রেমে পড়ে না এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বাঙালিরা চিরসবুজ, তাইতো বিলের ধারে বিছানার মতো সেজে থাকা শাপলার দিকে তাকিয়ে থাকে। বাঙালি যে চিরপ্রেমময়ী, চিরতরুণ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনিয়ম ভাঙা
পরবর্তী নিবন্ধ২৩ সালে ২৩ লাখ