আমরা প্লাস্টিক খাচ্ছি, পান করছি

চবিতে সেমিনারে বক্তারা

চবি প্রতিনিধি | বুধবার , ১৪ জুন, ২০২৩ at ৯:৫৫ পূর্বাহ্ণ

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ‘প্লাস্টিক দূষণের সমাধান’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের (ইফেস্কু)। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ইনস্টিটিউটে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে প্রফেসর ড. খালেদ মিসবাহুজ্জামান বলেন, খাদ্য চক্রের অংশ হিসেবে আমরা প্লাস্টিক খাচ্ছি, প্লাস্টিক পান করছি। এমনকি শ্বাসপ্রশ্বাসেও গ্রহণ করছি। সমুদ্র ও পাহাড়েও প্লাস্টিকের আশঙ্কাজনক উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। এমনকি এভারেস্টের চূড়ায়ও প্লাস্টিক পৌঁছে গেছে। এই প্লাস্টিকের কণা একসময় আমাদের খাদ্য ও পানীয়তে যোগ হচ্ছে। যা আমাদের জন্য ভীতিকর। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। তবে তা ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। এর কারণ হলো আমরা মানুষকে প্লাস্টিকের বিকল্প দিতে পারিনি। প্লাস্টিক সস্তা ও বহনযোগ্য হওয়ায় মানুষ এটাই ব্যবহার করে। ড. খালেদ বলেন, প্লাস্টিক দূষণ রোধের অন্যতম উপায় হচ্ছে পচনশীল বস্তু ব্যবহার করা। এছাড়া অব্যবহৃত প্লাস্টিক রিসাইক্লিং করেও দূষণ রোধ করা যায়। অর্থাৎ পরিবেশের ক্ষতি করে এমন কোনো জিনিস পরিবেশে যেতে দেওয়া যাবে না। তবে রিসাইক্লিংকে একমাত্র সমাধান না ধরে প্লাস্টিকের বিকল্প উদ্ভাবন নিয়ে ভাবতে হবে। এছাড়া বন পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে প্লাস্টিকের প্রভাব কমানো যেতে পারে। যা আমাদের এসডিজির অনেকগুলো লক্ষ্য পুরণেও সাহায্য করবে।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন চবির উপউপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে, সচিব ও ইফেস্কু অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি মমিনুর রশিদ আমিন, ইফেস্কুর পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আকতার হোসেন, চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আবদুল হক। এর আগে সকাল ১০টায় আইন অনুষদ প্রাঙ্গণে র‌্যালি এবং পরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষকশিক্ষার্থী ও অতিথিরা। এছাড়া দুপুর ১২টায় ইফেস্কু প্রাঙ্গণে থিমেটিক প্ল্যাকার্ড প্রতিযোগিতা ও সেমিনার শেষে বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউখিয়ায় দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের গোলাগুলি, রোহিঙ্গা যুবক নিহত
পরবর্তী নিবন্ধদেশে বেড়েছে জন্মহার