আইনগতভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার পরও পলিথিনের উৎপাদন বিপণন ও ব্যবহার মোটেও কমেনি বরং আগের চেয়ে বেড়েছে। সারাদেশে ছোট বড় অন্ততঃ ২ হাজারেরও অধিক পলিথিন কারখানায় ব্যাগ উৎপাদিত হচ্ছে বলে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়। পরিত্যক্ত পলিথিন নদী ও জলাধারগুলোতে জমা হয়ে মারাত্মক পানি দূষণের ফলে মৎস্যসহ জলজ প্রাণীর জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পরিবেশগত নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরে জলাবদ্ধতা, নানা–নর্দমার পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা, নদী দূষণের জন্য দায়ী এ পলিথিন। তাই অবৈধ পলিথিন কারখানাগুলো কঠোর হস্তে বন্ধ করে পাটজাত সোনালী ব্যাগের উৎপাদন বিপনন ও ব্যবহার বাড়ানোর কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পলিথিন ব্যবহার কমিয়ে বিকল্প পাটের তৈরী সোনালী ব্যাগ ব্যবহারের আহবান জানিয়েছিলেন। সম্প্রতি সিটি কর্পোরেশন পলিথিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। আমরা চাই সিটি কর্পোরেশন সহসা এ যুদ্ধে জয়ী হোক।
এম. এ. গফুর,
বলুয়ার দীঘির দক্ষিণ পশ্চিম পাড়,
কোরবানীগঞ্জ, চট্টগ্রাম।