২৮৬টি পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ তুলে নিল শ্রীলঙ্কা

| সোমবার , ১২ জুন, ২০২৩ at ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ

শ্রীলঙ্কা ২৮৬টি পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়। কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বাজে অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভোগা দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি যে ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করেছে, এই বিধিনিষেধ তুলে নেওয়াকে তার তরতাজা চিহ্ন বলছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ফুরিয়ে যাওয়ায় গত বছর ভারতের দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত দ্বীপদেশটি ভয়াবহ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত হয়েছিল। বাধ্য হয়ে দেশটির সরকারকে তখন সামুদ্রিক খাবার, ইলেকট্রনিক্স, বাদ্যযন্ত্রসহ তিন হাজার ২০০টির বেশি পণ্যে আমদানি বিধিনিষেধ আরোপ করতে হয়েছিল। খবর বিডিনিউজের। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ২৯০ কোটি ডলারের বেইলআউট পাওয়ার পর গত ৯ মাসে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, আকাশছোঁয়া মূল্যস্ফীতি অনেকটাই সহনীয় হয়েছে, একটু একটু করে শক্তিশালী হচ্ছে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভও। রেমিট্যান্স ও পর্যটন থেকে আয় বাড়ায় মে মাসে রিজার্ভ ২৬ শতাংশ বেড়ে সাড়ে তিনশ কোটিতে দাঁড়িয়েছে, যা দেশটিতে ১৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশটির মুদ্রার মানও চলতি বছর ২৪ শতাংশ বেড়েছে বলে তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব বলছে। অর্থনীতি স্থিতিশীল হওয়ায়, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ২৮৬টি পণ্য আমদানির ওপর থাকা বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে, বিবৃতিতে বলেছে শ্রীলঙ্কার অর্থ মন্ত্রণালয়। গাড়িসহ ৯২৮টি পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। ২০২০ সালের মার্চে এসব পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছিল। এবার রেলওয়ের বগি থেকে শুরু করে রেডিও সমপ্রচার রিসিভার পর্যন্ত অনেক কিছুই বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া পণ্যের তালিকায় স্থান পেয়েছে। চলতি সপ্তাহ থেকে শ্রীলঙ্কা ৬০টি জরুরি ওষুধের দামও ১৬ শতাংশ কমাতে যাচ্ছে। দেশটির অর্থনীতি গত বছর ৭ দশমিক ৮ শতাংশ সংকুচিত হয়েছিল, এ বছর তা ৩ শতাংশের মতো হবে বলে আশা আইএমএফের। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার সরকার আগামী বছর থেকে প্রবৃদ্ধিতে ফেরার প্রত্যাশা করছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ২১.৫৫ কোটি টাকা
পরবর্তী নিবন্ধপ্যারেড চলাকালে অজ্ঞান হয়ে গেলেন তিন ব্রিটিশ সেনা