বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি তেলবাহী ওয়াগনের সঙ্গে হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড ক্যাপসুল নিয়ে কন্টেনারবাহী লরির সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় বিমানবন্দর সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। নগরীর বন্দর থানার সল্টগোলা রেলক্রসিং এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিপজ্জনক পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সিনহা এবং টিআই সল্টগোলা ক্রসিং সুভাষ দে আজাদীকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওসি সঞ্জয় বলেন, রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে ইপিজেড সল্টগোলা লেভেল ক্রসিংয়ে হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড বহনকারী একটি লরির সঙ্গে একটি তেলবাহী ওয়াগনের সংঘর্ষ হয়। তিনি বলেন, ওয়াগনটি ধীরে আসছিল। তা দেখেও লরির চালক হয়ত ভেবেছিল পার হয়ে যেতে পারবে। কিন্তু লরির পেছনের অংশের সঙ্গে ধাক্কা লাগে ওয়াগনটির। এতে ওয়াগনটি উল্টে গেলে তাতে চাপা পড়ে এক মোটরসাইকেল আরোহী মারা যান।
টিআই সুভাস বলেন, দুর্ঘটনার কারণে ব্যস্ত সড়কে যানবাহন চলাচল বিচ্ছিন্ন আছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন।
সূত্র জানায়, কন্টেনার লরিটি ডিপো থেকে বেরিয়ে আসার পরপর ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ইয়ার্ড মাস্টার আব্দুল মালিক বলেন, ট্রেনটিতে ১০টি ওয়াগন আছে। এটির সিজিপিওয়াইতে আসার কথা ছিল। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রায়হান আশরাফ বলেন, কেমিক্যালবাহী লরিটি বন্দর থেকে বের হওয়ার সময় সল্টগোলা ক্রসিং মোড় এলাকায় তেলবাহী ট্রেনের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বন্দর ও ইপিজেড ফায়ার স্টেশনের ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছে। সংঘর্ষের ফলে লরির ওপরে থাকা ক্যামিক্যাল ট্যাংকার বাঁ দিকে কাত হয়ে পড়ে। আমরা একটি হেলমেট ও মোটরসাইকেল নিচে দেখতে পাচ্ছি। আশঙ্কা করছি মোটরসাইকেল আরোহী বেঁচে নেই। আমাদের কাছে উদ্ধার কাজের জন্য ভারী সরঞ্জাম না থাকায় বন্দর কর্তৃপক্ষের ক্রেন আসার অপেক্ষা করতে হয়েছে। তারপর আমরা উদ্ধার কাজ চালিয়েছি। এরইমধ্যে লরির ট্যাংকার থেকে কেমিক্যাল রাস্তায় ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার পরপরই চালক পালিয়েছে।